জয়পুরহাটের মানুষের স্বপ্নের চার লেন সড়কের কাজ ছয় বছরেও শুরু হয়নি। সড়কের দুপাশের ড্রেনের কাজ এখন চলছে।
জয়পুরহাট শহর মুলতঃ এক সড়ক কেন্দ্রিক। ফলে এই সড়কে যানজট লেগেই থাকতো। সব চেয়ে সমস্যায় পড়তো স্কুল ও অফিসগামী মানুষ। ভোগান্তি ছিল অন্যদেরও। এই অবস্থায় জয়পুরহাটবাসী যখন জানতে পারে শহরের এই সড়কটি প্রশস্ত করে চার লেন করা হবে তখন সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। কিন্তু সেই স্বপ্নের চার লেন সড়ক আজ জয়পুরহাট বাসীর জন্য দু:স্বপ্ন। গত ৬ বছর একটু বৃষ্টিতে সারা শহর কাদায় আর খড়ার সময় ধুলায় চলাচলে করা দায় হয়ে পরে।
২০১৭ সালে একনেকে জয়পুরহাট হারাইল বাস স্টান্ড থেকে রেলগেট পর্যন্ত আড়াই কিমি রাস্তার প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মোট ব্যয় ধরা হয় ১৭৫ কোটি টাকা। এরপর তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে দুটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় সওজ বিভাগ।
জমি অধিগ্রহণ করে ৭০ ফুট রাস্তা যা ২৪ ফুট প্রশস্ত পেভমেন্ট হবে দুইটি, মাঝে ডিভাইডার ৩ ফুট, দুই পাশে ড্রেন ৪.৫ ফুট করে এবং দুপাশে পানির লাইন ইলেকট্রিক পোস্ট ইত্যাদির জন্য ৫ ফুট করে জায়গা থাকবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি আবু আল মাহমুদ স্বপন এই চার লেন সড়কের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। চার লেন সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের প্রায় ১.২৮ একর ভুমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি ২০ লাখ ৮৫ হাজার ৯শত ৮০ টাকা ব্যয় করা হয়। এর মধ্যে জয়পুরহাট পৌরসভাকে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩ শত ২৪ টাকা, পল্লি বিদ্যুত সমিতিকে ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৫ শত ৭৭ টাকা, নেসকোকে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪ টাকা, বিটিসিএলকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৬১ হাজার ৫ শত ৬০ টাকা, রেলওয়েকে ৬ কোটি ১৭ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত ১৪ টাকা দেয়া হয়।
এই চার লেন সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি দেড় বছরে শেষ হবার কথা থাকলেও ৬ বছরেও শেষ হয়নি। এমনকি রাস্তায় একটি পাথরও পরেনি আজ পর্যন্ত। জমি অধিগ্রহণ থেকেই প্রকল্পটি দুর্নীতির মধ্যে পড়েছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।








































আপনার মতামত লিখুন :