ছাদ থেকে ছেলের পা ধরে নিচে ঝুলিয়ে রাখলো বাবা। ১১ বছর বয়সী ছেলেকে শাসন করার নামে এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতা করেন বিশ্বজিৎ সরকার। প্রাণ বাঁচাতে ছেলে অনেক কাকুতি-মিনতি শুরু করলেও তা শোনেননি তিনি। বিপরিতে ছেলের ওপর হিটলারি শাসন ফলাতে উদগ্রীব ছিলেন।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা গোপালনগর থানা এলাকার দিঘারী গ্রামের। বিশ্বজিৎ সরকার এই গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন চাষী। নির্যাতনের শিকার তার ছেলে বিশাল সরকার।
ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ঘর থেকে ৫০০ রুপি চুরি করেছে। এদিক-ওদিক খোঁজার পর তার সন্দেহ ছেলেই ওই রুপি নিয়েছে। কিন্তু ছেলে রুপি নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তখনই ক্ষেপে যান বিশ্বজিৎ সরকার। আর শাসন করার নামে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একতলার ছাদ থেকে ছেলের পা ধরে নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখেন বাবা।
ছাদের এক কোণ থেকে কোনো একজন সেই ভিডিও তার মোবাইলে ধারণ করেন। মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। বাবার নির্মম অত্যাচারের ওই ভিডিও দেখে গা শিউরে উঠছে অনেকের। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোলাপনগর থানার পুলিশ। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে।
ওই কিশোরের সৎ মা সুনীতা সরকার জানান, পকেটের ৫০০ রুপি খুঁজে না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে বিশ্বজিৎ। কিন্তু ছেলে স্বীকার না করায় বাবা ওই জঘন্যতম কাজটি করেন।
কিন্তু সবকিছু দেখেও কেন সন্তানকে উদ্ধার করেননি, এই প্রশ্নের উত্তরে মা জানান, আমি দেখে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। সেটা গ্রামের লোক দেখেছে। তাছাড়া সৎ মা হলেও আমি তাকে কতটা ভালোবাসি সেটা গ্রামের লোক জানে।
সুনিতা দেবী আরও বলেন, তার স্বামী যেটা করেছে সেটা অন্যায়, তাকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু রাগের মাথায় তিনি এটা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :