Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

চৌদ্দগ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি


দৈনিক পরিবার | এ কে পলাশ মে ২৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম চৌদ্দগ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী খালেদা আক্তারকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় আসামি নিহতের স্বামী মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় এর আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রাজু (২৫) কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাটিষক গ্রামের নুরুন্নবী প্রকাশ নুর আলমের ছেলে। তার শ্বশুর বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালে খালেদা আকতারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে কন্যা সন্তান আসে। বিয়ের পর হতেই স্বামী রাজু বেকার থাকায় ভুক্তভোগী খালেদা আক্তার তার শিশু সন্তান মীমকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতো। পরে, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর মো. মোজাম্মেল তাঁর শ্বশুর বাড়ী বেড়াতে আসে। পরদিন সকালে ভুক্তভোগী খালেদা তার স্বামীকে বলে ভিজা জামা ধৌত করে দেওয়ার জন্য। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোজাম্মেল হোসেন রাজু বলেন, অনেক সহ্য করেছি আর নয়, এ কথা বলেই ভিকটিম খালেদা আক্তার এর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ পুকুর ঘাটের কাছে ফেলে রেখে সে শ্বশুর বাড়ী হতে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এঘটনার পর নিহতের পিতা মো. মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে আসামি করে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, আসামি রাজু স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে আদালতে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামী মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজু আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।

Side banner