Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

জেনে নিন ইসবগুলের নানা উপকারিতা


দৈনিক পরিবার | জীবনযাপন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০২:২৮ পিএম জেনে নিন ইসবগুলের নানা উপকারিতা

ইসবগুলকে বলা হয় প্রাকৃতিক ওষুধ। এটি দ্রুত পেট পরিষ্কার করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসবগুল গরম পানিতে গুলে খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর হয়।
ইসবগুলের ভুসি কী
ইসবগুলের ভুসি মূলত সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা, যা দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর। এটি রেচক বা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে পরিচিত। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি হার্ট ও অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
খাওয়ার নিয়ম
প্রথমে দিনে একবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ধীরে ধীরে দিনে ২-৩ বার খাওয়া যেতে পারে।
এক গ্লাস গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।
রাতে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে বেশি উপকারী।
পুষ্টিগুণ
১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে
৫৩% ক্যালোরি
১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম
১৫ গ্রাম শর্করা
৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন
কোনো ফ্যাট নেই, তাই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
ইসবগুলের উপকারিতা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: অন্ত্রে একটি স্তর তৈরি করে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শোষণ হতে বাধা দেয়। ফলে তা মলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: পেট পরিষ্কার রাখে ও আলসারজনিত ব্যথা কমায়।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়: আখের গুড়ের সঙ্গে খেলে দ্রুত আরাম মেলে।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করে: পাকস্থলীতে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, অ্যাসিডিটি কমায়।
ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে: দইয়ের সঙ্গে খেলে তরল মল শক্ত হয় ও দ্রুত আরোগ্য ঘটে।
হার্ট ভালো রাখে: রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, ধমনী ব্লক হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
খাওয়ার সঠিক নিয়ম
অবশ্যই পর্যাপ্ত পানির সঙ্গে খেতে হবে।
এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে।
পানি বা শরবতের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে।
নিয়মিত ও সঠিকভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে পাচন সমস্যা, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Side banner