বহুল প্রচলিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত এক সাংবাদিকের ফেইসবুকে সর্বহারা রূপলাল মুচির জীবন কাহিনী পড়ে ছুটে এলেন মানবতার ফেরিওয়ালা মানুষ গড়ার কারিগর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী।
গত রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা, পোরশা উপজেলার জিরো পয়েন্ট সারাইগাছি মোড়ে ফুটপাতে ছাতা ফুটিয়ে বসে থাকে রূপলাল।
রূপলাল জুতা সেলাই করার কাজ করেন সেখানে। তার জীবন কাহিনী পড়ে নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ঠ জনপ্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান সেখানে যান এবং তার কাছে শুনলেন তার জীবনের হৃদয়বিদারক কাহিনী ও মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিলেন। তারপর বললেন, আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয় আমি যতটুকু পারি তোমাকে সাহায্য করে যাব। বলে তিনি তার হাতে দোকানের আর কি প্রয়োজন মিটালে আরো ভালো আই হবে জানতে চাইলেন। তাৎক্ষণিক কিছু টাকা তার হাতে তুলে দিলেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তিনি তার হাত ধরে কেঁদে ফেললেন। তাকে বললেন আমার বাবার ৩৫ বিঘা জমি ছিল বাপ চাচারা অভাব অনটনের বিক্রি করে ফেলেছেন। আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলাম। পরে পোরসা উপজেলার মশিদপুর হাটের পূর্ব পাশে মহাসড়কের রাস্তার জায়গায় বাড়ি করে আছি। সারা বছর এখানে বসি আমি এই ছাতা ফুটিয়ে ফুটপাতে যা ইনকাম হয় তাতে আমার সংসার ভালো চলে জন্য আমি খুশি।
মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সান্তনার বাণী দিলেন। আমি চেষ্টা করে যাব আপনার কোন দুরবস্থায় পাশে দাঁড়াবার এমন আশার বাণী শুনালেন তাকে।
আপনার মতামত লিখুন :