Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সাইকেল আরোহী নিহত

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল গাড়ি


দৈনিক পরিবার | নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল গাড়ি

চট্টগ্রাম নগরের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে একটি প্রাইভেট কার ছিটকে নিচে পড়ে গেছে। ওই গাড়ির চাপায় এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিমতলা মোড় বন্দর থানা এলাকার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনে তিনি ও থানায় থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বের হন। দেখা যায়, একটি প্রাইভেট কার এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে নিচে উল্টে পড়ে আছে। গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি বের হয়ে আসেন, তাঁদের আঘাত ছিল তুলনামূলক কম। তবে নিচ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটির চাপায় এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুল হাসান বলেন, যে স্থানে গাড়িটি নিচে পড়ে যায়, সেই অংশে একটি বাঁক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রেলিং টপকে পড়ে যায়।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পরীক্ষামূলক চালুর পর গত বছরের আগস্টে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহীর মৃত্যু হয়। চলতি নভেম্বরেই আরও দুটি প্রাইভেট কার উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে এই উড়ালসড়কে। চালকদের বেপরোয়া গতি, বাঁকের নকশা এবং মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করাকেই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বলছে, এক্সপ্রেসওয়ের বাঁকগুলো সম্পূর্ণ ‘স্বাভাবিক’ নকশার। দুর্ঘটনার জন্য তারা চালকদেরই দায়ী করছেন।
যানবাহন চালকেরা জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে কোথাও গতিসীমা পর্যবেক্ষণের ক্যামেরা বা মেশিন নেই। ফলে গতিনিয়ন্ত্রণ বলতে কার্যত কিছুই নেই। কিছু স্থানে গতিরোধক থাকলেও সেগুলোও অধিক গতি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সিডিএ সূত্র বলছে, এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার এবং বাঁকযুক্ত অংশে ৪০ কিলোমিটার। গাড়ি দাঁড় করানো বা থামানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে প্রায়ই দেখা যায়, চালকেরা গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলেন বা যাত্রী ওঠান-নামান যার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এক্সপ্রেসওয়ের দেওয়ানহাট, বারিক বিল্ডিং, সল্টগোলা, ইপিজেড ও কাঠগড় এলাকায় বেশ কয়েকটি বাঁক রয়েছে। এসব বাঁকে গাড়ির গতি কমানোর প্রবণতা খুব কম চালকদের মাঝে। ফলে নিয়মিতই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

Side banner