Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিইউতে রওশন এরশাদ


দৈনিক পরিবার মে ১৯, ২০২২, ০৪:১৯ পিএম আইসিইউতে রওশন এরশাদ

ঢাকাঃ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত ছেলে সাদ এরশাদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়ার কারণে গত ২৫ নভেম্বর তাকে কেবিন থেকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। কফ জমে গিয়েছিল। তবে আগের মতোই আছে অবস্থা। খুব বেশি যে সিরিয়াস তা নয়। কিন্তু আইসিইউ মানেই তো ভয়ের ব্যাপার।

জানা গেছে, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদের অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়াসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে গত ২৫ নভেম্বর তাকে কেবিন থেকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়।গত ১৪ আগস্ট থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন রওশন এরশাদ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালে গত ২০ অক্টোবর আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।

টানা ২৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৩ মে বাসায় ফেরেন তিনি।

রওশান এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী। তিনি ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং গত দুই মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতা। এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে রওশন এরশাদ সমাজ কল্যাণ ও নারী-শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। তিনি 'বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থা'-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি 'সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি' প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ সালে হজ পালন করেন।

Side banner