১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সের প্রথম দিনে দুটি রেকর্ড হয়েছে। দুটিই আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত থ্রো ইভেন্টে। ডিসকাস থ্রোতে (পুরুষ) ৪৬.৯৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেনাবাহিনীর আব্দুল আলিম রেকর্ড গড়েন। ২০১০ সালে ৪৪.৯৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন একই সংস্থার খেলোয়াড় আজহারুল। ডিসকাস থ্রোতে আজহারুল দীর্ঘদিন ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
শটপুট (মহিলা) ইভেন্টে জান্নাত বেগম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে ১৩.৯১ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে রেকর্ড অর্জন করেন। পূর্বে এই ইভেন্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন জাকিয়া আক্তার। তখন তিনি ১৩.৫২ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন। রেকর্ডধারীরা ফেডারেশন থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কার পাবেন।
প্রথম দিনে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ১১টি ইভেন্ট হয়েছে। যেখানে ৭টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য ও ৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৯টি পদক নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পদক তালিকার শীর্ষে। ৫টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য এবং ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং একটি করে বোঞ্জ পদক নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে বিকেএসপি, বাংলাদশ বিমানবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ২৬টি, ইউনির্ভাসিটি ৭টি, শারিরীক শিক্ষা কলেজ ৩টি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জেল, পুলিশ, বিজিবি ও বিকেএসপিসহ মোট ৪৩টি সংস্থার ৪৬৭জন অ্যাথলেট এই সামার অ্যাথলেটিক্সে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ছেলে ৩৩১ জন ও মেয়ে ১৩৬ জন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তার পরিবর্তে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব উল আলম উদ্বোধন করেন।
আজ জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেট ব্যক্তিত্বদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অ্যাথলেট ও সংগঠক মিলিয়ে ৪৬ জন অ্যাথলেটিক্স থেকে ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। ফেডারেশন থেকে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ২৫ জনের মতো এসেছিলেন। ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের এক মঞ্চে আনার উদ্যোগ ফুটবল ও ক্রিকেটের মতো বড় ফেডারেশনও করতে পারেনি সাম্প্রতিক সময়ে।
আপনার মতামত লিখুন :