বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছেন, চোখে নিজুত স্বপ্ন। কিন্তু সেই খেলোয়াড়দেরই কি না সংসার চালাতে হচ্ছে সম্পত্তি বন্ধক রেখে কিংবা মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে। এমনই কঠিন বাস্তবতা দেখা গেল রাগবি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সামোয়া দলে। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট দলের অর্ধেকেরই নাকি এভাবে সংসার চালাতে হচ্ছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
ইংল্যান্ডের মাটিতে আগামী শুক্রবার জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠবে নারী রাগবি বিশ্বকাপের। সেখানে প্রতিযোগী ১৬টি দেশের ওপর দ্য গার্ডিয়ান এক জরিপ চালিয়ে তাদের কঠিন আর্থিক বাস্তবতার প্রমাণ পেয়েছে। সামোয়ার ৩২ সদস্যের দলে অর্ধেক খেলোয়াড়ই নিজ নিজ বন্ধক (মর্টগেজ) ও গৃহস্থালি খরচ মেটাতে তহবিল সংগ্রহ করছেন। এই তথ্য জানিয়েছেন দলটির ৩৬ বছর বয়সী খেলোয়াড় নিনা ফোয়েসে। যিনি তিন সন্তানের জননী এবং পেশায় একজন সহায়ক যুবকর্মী।
মানুষের কাছ থেকে অভাবনীয় অনুদান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সামোয়ার এই রাগবি খেলোয়াড়, ‘যতটা অনুদান পেয়েছি, তা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। মানুষ আমাকে স্পন্সর করতে এতটা আগ্রহী হবে, তা কখনও ভাবিনি। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ ও বিস্মিত।’ এর আগে বিশ্বকাপ দলে খেলার ডাক পাওয়ার খবর পেয়েই তহবিল সংগ্রহের বিষয়টি তার মাথায় আসে।
ফোয়েসে বলেন, ‘আমাদের দল আলোচনা করছিল যে, কে কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের আর্থিক যোগান মেটাবে। প্রথমে দ্বিধায় ছিলাম, কিন্তু আমাকে বলা হলো– বাড়িতে সন্তানদের দেখভালের খরচসহ জীবনযাত্রার জন্য সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।’ বলে রাখা ভালো– বিশ্বকাপ চলাকালীন বিশ্ব রাগবি ফেডারেশন সব দলের বিমানভাড়া ও আবাসনের খরচ বহন করে। তবে সামোয়া খেলোয়াড়দের সামান্য ভাতা দিলেও তাদের জন্য কোনো চুক্তিভিত্তিক বেতন নেই।
এভাবে রাগবি বিশ্বকাপের প্রতিযোগী বেশ কয়েকটি দেশেরই চুক্তিতে অর্থের পরিমাণ খুবই নগণ্য। তবে সেই তুলনায় সামোয়ার খেলোয়াড়দের ধারেকাছে নেই কেউ। অন্যান্য দলে চুক্তিভিত্তিক বেতন স্বল্প হলেও, তেমনটা নেই সামোয়া রাগবি দলে।
আপনার মতামত লিখুন :