জাতীয় দলের জার্সিতে সুখময় মুহূর্ত কাটিয়ে এসে মুদ্রার অপরপিঠ দেখলেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তার পেনাল্টি মিসের দিনে হেরেছে দলও। ইদান তোকলোমাতির হ্যাটট্রিকে শার্লট এফসির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে মায়ামি।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে প্রতিপক্ষের মাঠ ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে খেলতে পজেশনে এগিয়ে থাকলেও মায়ামি শার্লটের সঙ্গে প্রায় সমানতালে লড়েছে। ৫৯ শতাংশ বল দখলে রেখে ১০ শটের মধ্যে তারা ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে শার্লটের ১০ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৪টি। শার্লটের পক্ষে তোকলোমাতি পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন। এমনকি ১৯৯৮ সালের পর এমএলএসের প্রথম কোনো ২১ বা তারচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে টানা সাত ম্যাচে গোলে অবদান রাখলেন তিনি।
ম্যাচটিতে প্রথম এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইন্টার মায়ামি। ষষ্ঠ মিনিটে জর্দি আলবার নেওয়া পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক শট ঠেকান শার্লট গোলরক্ষক ক্রিস্টিয়ান কাহলিনা। এরপর ৩২ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টির আগপর্যন্ত চাপ প্রয়োগ করতে থাকে মায়ামি। স্পটকিকে মেসির পানেনকা শট নেওয়ার ভাবনা পড়ে ফেলেছিলেন শার্লট গোলরক্ষক। ফলে নির্দিষ্ট কোনো দিকে না ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আলবিসেলেস্তে তারকার শট।
দুই মিনিট বাদেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ম্যাচে লিড নেয় স্বাগতিকরা। প্রথমবার স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন ইসরায়েলি স্ট্রাইকার তোকলোমাতি। সেখানেই থামেননি তিনি, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয়বার শার্লটকে এগিয়ে দেন। তাকে স্লাইসে শট বাড়ান উইলফ্রাইড জাহা। আবার তারই কল্যাণে ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় শার্লট। যা তোকলোমাতির হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার উপলক্ষ্য এনে দেয়। স্পটকিকে ভুল করেননি তিনি। ফলে ৩-০ ব্যবধানে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার নিশ্চিত হয় মায়ামির।
প্রতিপক্ষ দলের স্টাফের দিকে থুতু ছিটিয়ে নিষেধাজ্ঞায় পড়া লুইস সুয়ারেজকে ছাড়া খেলেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এমনকি তারা সর্বশেষ চার ম্যাচের মধ্যে ৩টিতেই জয়হীন। অন্যদিকে, শার্লট নিজেদের রেকর্ড সর্বোচ্চ টানা নবম ম্যাচে জয় পেল।
আপনার মতামত লিখুন :