মধ্য কার্তিকের বৃষ্টিতে সোনাতলায় ডুবে গেছে এই উপজেলার অনেক জমির আমন ধান। এ কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। যদিও অনেকেই বলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকের এই ক্ষতি। তবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হয়তোবা ক্ষতি অনেকাংশে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। বৃষ্টির পানি জমে থাকলে দ্রুত নিষ্কাশন, রোগ প্রতিরোধ ও সঠিক পরিচর্যা করলে হেলে পড়া ধানগাছও পুনরায় দাঁড়িয়ে ভালো ফলন দিতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি অধিদপ্তর। এজন্য প্রয়োজন কৃষকদের সচেতনতা, সরকারি সহায়তা এবং স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ।
সম্প্রতি টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে সোনাতলা উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও মাঝারি উঁচু জমিতে পানি জমে গেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ধান চাষিরা। বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা আর্দ্রতা ও বাতাসের প্রভাবে অনেক জায়গায় কাঁচা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। এতে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গভীর উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা।
উপজেলার বোচারপুকুর, বালুয়া, সৈঃআঃকলেজ, হাট করমজা, পাকুল্যা, তেকানী সহ অনেক গ্রামেই এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসংখ্য কৃষক।
কৃষক শাহজাহান আলী, সিরাজুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম সহ অনেকের ধানক্ষেতের এমন বিপর্যয় সম্পর্কে বলেন, গাছ যদি পুরোপুরি সোজা অবস্থায় ফিরিয়ে আনা না যায়, ফলন কমে যাওয়া পাশাপাশি যেমন বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তেমনি সার, বীজ ও শ্রমের বিনিয়োগ ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কায় সোনাতলা উপজেলার ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের চোখে-মুখে নেমে এসেছে হতাশার ছাপ।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতিবেদক কে বলেন, পুরো উপজেলা জুড়ে আপাতত দৃষ্টিতে ১’শ ৩৫হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে। তবে কাঁচা ধানের কয়েকটি গাছ একত্রে বাঁধা সহ পাকা ধান কেটে নেয়াই ভালো।








































আপনার মতামত লিখুন :