বগুড়া সোনাতলায় বৃষ্টিতে লোকজন চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। ফলে ভাঙ্গা অংশ পারাপারের জন্য লোকজনের একমাত্র ভরসা নৌকা। ঘটনাটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানীরপাড়া নামাজখালী রাস্তায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের পার্শ্বে রাস্তার কিছু অংশ বর্ষায় পানির স্রোতে ভেঙ্গে প্রায় ৮/১০ফিট গভীর খাদে পরিণত হয়েছে। এতে করে এপার ওপার বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষক, ব্যবসায়ী, সাধারণ লোকজন এবং স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা জানান, রানিরপাড়া গ্রামের অনেকেই এই রাস্তা হয়ে জমিতে কাজ করতে যায়। সেই সাথে সরকারি আবাসন প্রকল্পের বসবাসরত অসহায় লোকজন সহ প্রায় ৪টি গ্রামের লোকজন এই রাস্তা হয়ে সোনাতলায় যায়।
স্থানীয় বিমল চৌধুরী জানান, আবাসন হতে রানিরপাড়া রাস্তায় মাঝখানে কালভার্টের পার্শ্বে ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের আশপাশের গ্রামের লোকজন সহ ছাত্রছাত্রী যারা রানিরপাড়া প্রাইমারি স্কুলে যায় এবং সোনাতলায় লেখাপড়া তথা নানা প্রয়োজনে যায় তারা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতেই পারছে না। বিশেষ করে আমাদের পাড়ার দই ব্যবসায়ীরা ট্রেনে বিভিন্ন জায়গায় দই বিক্রি করতে যায় তারা সময়মতো যেতে পারছেনা। ওই খাল পারপারে জনপ্রতি ১০টাকা নৌকাওয়ালাকে দিতে হয়। তিনি আরো বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন উত্তর নামাজখালী, দরিহাঁসরাজ, চরমধুপুর ও আদর্শ গ্রামের প্রায় দুহাজার লোকজনদের যাতায়াত।
রানিরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র শিহাব বলেন, গত তিনদিন টাকা না থাকায় খাদ পেরিয়ে স্কুলে যেতে পারিনি। অনেকেই জানান অসুস্থ বা জরুরি প্রয়োজনে রাতের বেলায় ওই খাদটুকু পারাপারে কোন ব্যবস্থা নেই। যেন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
কালভার্টের ওখানে নৌকা নিয়ে বসে রয়েছেন একজন বালক। নাম জিজ্ঞেস করতেই বললেন নাম বলা যাবে না। তবে তার কাছ থেকে জানা গেল প্রতিদিন কাকডাকা ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়া দই ব্যবসায়ী সহ পথচারীদের পারাপার করে ৩থকে ৪’শ টাকা রোজগার হয় বলে জানান।
এবিষয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেলাল বলেন, ঘটনাস্থল আমি দেখেছি তবে আশপাশের পানির কারণে মাটির সংকট। পানি নেমে যাওয়া মাত্রই মাটি ভরাট করা হলে এই সমস্যা থাকবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক প্রতিবেদক কে বলেন, আমি সদর ইউপি চেয়ারম্যান কে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
আপনার মতামত লিখুন :