জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের তিন ঘণ্টা পর বিশাল মিয়া (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ফাঁসিতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার শিমলাবাজার সুমন ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটেছে। বিশাল উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়াবাড়ী গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে। সে সরিষাবাড়ী আরডিএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি সুমন ফার্মেসির কর্মচারী ছিলো। ফেসবুকে এমন পোস্টের কারণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার শিমলা বাজারে বিশালের বাবা ভ্যানচালক সাগর মিয়া বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। বিশাল গত সোমবার বিকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘বেঁচে থেকে লাভ কি যদি আল্লাহ’র ইবাদতই না করি’ এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পর ঘুমের কথা বলে ফার্মেসির পিছনে বিশ্রামাগারে ঢুকে। কিছুক্ষণ পর ফার্মেসির মালিক সুজিত কুমার রায় সুমন দরজার কাছে গিয়ে বিশালকে ডাকতে থাকেন। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকে। ডাকার একপর্যায়ে কোন সাড়াসব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বিশালকে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত শিক্ষার্থীর বাবা সাগর মিয়া বলেন, ভ্যান গাড়ি চালিয়ে ছেলেডারে পড়ালেখা করাইতে ছিলাম কষ্ট করে। ছেলেডা প্রায়ই আমার কাছে দামি দামি জিনিসের বায়না ধরতো। কিনে না দিলে অভিমান করত। বিকেলে গলায় ফাঁসিতে ঝুইলে মারা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, সন্ধ্যার পর গলায় ফাঁস দেওয়া রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। তবে হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাশেদুল হাসান বলেন, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে রাতে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।








































আপনার মতামত লিখুন :