কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুধঘাটা নূরে মোহাম্মদী (সা.) দাখিল মাদরাসার সীমানাপ্রাচীর ও প্রধান ফটকের কাজ শুরু না করেই বরাদ্দের শতভাগ টাকা উত্তোলনের অভিযোগে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান খান ও উপসহকারী পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান রুবেলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর মাদরাসাটির সীমানাপ্রাচীর ও ফটক নির্মাণের জন্য ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর কার্যাদেশ দেওয়া হয় এবং ১৮০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্তে বুড়িচং উপজেলার মালাপাড়ার উত্তর শ্যামপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাহানারা ট্রেডার্স কাজটি পায়। কিন্তু কার্যাদেশের এক বছর পার হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমনকি নির্মাণসামগ্রীও মাদরাসা প্রাঙ্গণে আনা হয়নি। অথচ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বজলুর রহমান মোল্লা এবং মাদরাসার সুপার মো. ইব্রাহিম খলিলের যৌথ স্বাক্ষরে কাজ সমাপ্তি ও হস্তান্তর সনদ তৈরি করে পুরো টাকা উত্তোলন করা হয়।
এ ঘটনায় মাদরাসার সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন সরকার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ও দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান খান বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বেসরকারি রাজস্ব বাজেটের আওতায় মেরামত ও সংস্কার খাতের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরেজমিনে তদন্তে এসেছি।
প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, এখানে কোনো দৃশ্যমান কাজ সম্পন্ন হয়নি। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেব। প্রয়োজনীয় রেকর্ড ও তথ্য পাওয়ার পর প্রতিবেদন প্রস্তুত করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।








































আপনার মতামত লিখুন :