ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবু কায়েস শিকদারের প্রস্তাবকারীকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু কায়েস সিকদার রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর বড় ভাই ও ভুক্তভোগী প্রস্তাবকারী মোহাম্মদ আবু কাউছার শিকদার শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং ১১১৬।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ ও জিডি সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবু কায়েস শিকদারের মনোনয়নপত্র জমা দিতে উপস্থিত হন প্রস্তাবকারী মোহাম্মদ আবু কাউছার শিকদার। এ সময় লাল রঙের জ্যাকেট ও কালো চশমা পরিহিত মুখে চাপদাঁড়ি থাকা এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে ঘিরে ধরে। অভিযুক্তরা তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে ভবনের বাইরে নিয়ে মারধর করে। পরে বাইরে থাকা আরও কয়েকজন তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় অভিযুক্তরা “নির্বাচন করার সাধ জীবনের মত মিটিয়ে দিব” বলে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর দাবি, হামলার সময় তার সঙ্গে থাকা মোহাম্মদ ফারুক হোসেনকে হামলাকারীরা চিনতে না পরায় মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিতে পারেনি। তিনি জানান, অভিযুক্তরা এলাকার পরিচিত উচ্ছৃঙ্খল ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি।
এ ঘটনায় ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও আইনগত সুরক্ষার জন্য বাঞ্ছারামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জিডিতে ইমান আলী নামের এক ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জিডি পরবর্তীতে শাহ-আলম নামের অপর এক হামলাকারীকে শনাক্ত করতে পেরেছেন ভুক্তভোগী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবু কায়েস সিকদার বলেন, বাঞ্ছারামপুরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং একটি সুন্দর উন্নত সমৃদ্ধ বাঞ্ছারামপুর গড়তে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশসহ আমার নিরাপত্তা দাবি করছি। কারণ আমার কোন দলীয় পদপদবী নেই, আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই।
বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।








































আপনার মতামত লিখুন :