ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির মনোনয়ন বিএনপি-সমর্থিত জোটের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দলীয় হাইকমান্ড নিশ্চিত করে ঘোষণা করেছে।
এ কারণে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে সামনের দিনের করণীয় নির্ধারণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি একেএম মুছার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে তৃণমূল পর্যায়সহ উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ধানের শীষ প্রতীক না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন, ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার দাবি তোলেন।
রাত পর্যন্ত চলা ওই সমাবেশে সমাপনী বক্তব্য দেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। এ সময় তিনি এক আবেগঘন বক্তব্য দেন।
মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, “আজ আমার জীবনের একটি ব্যক্তিগতভাবে কষ্টের দিন। মন চাইলেও বাস্তবতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবুও আমি গভীর গর্বের সঙ্গে বলতে চাই আমি একটি আদর্শিক, সংগ্রামী ও গণতান্ত্রিক দলের একজন কর্মী। কারণ দল আমার কাছে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে, দলই আমার রাজনৈতিক পরিচয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রিয় নেতা, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সেটিই আমার রাজনীতির একমাত্র পথনির্দেশক। তাঁর নেতৃত্বে আমি আস্থা ও বিশ্বাস রাখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মনোনয়ন না পাওয়া মানেই পিছিয়ে যাওয়া নয়; বরং অনেক সময় এটি আত্মত্যাগের আরও বড় পরীক্ষা। দলের জন্য ত্যাগই যে প্রকৃত শক্তি, তা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমি পদ-পদবির রাজনীতি করি না, আমি মানুষের রাজনীতি করি। ক্ষমতার মোহ নয়, জনগণের ভালোবাসাই আমার রাজনীতির মূল প্রেরণা। অতীতেও যেভাবে আপনাদের পাশে ছিলাম, সুখে-দুঃখে, হাসি-কান্নায়, বিপদে-আপদে আগামীতেও ঠিক সেভাবেই আপনাদের পাশে থাকব। আমার অবস্থান বদলাতে পারে, কিন্তু আপনাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা কখনো বদলাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আন্দোলন-সংগ্রামে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এবং মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আমি সবসময় সামনের কাতারেই থাকতে চাই। দলের পতাকা উঁচু করে ধরাই আমার দায়িত্ব ও অঙ্গীকার। আমি বিশ্বাস করি, দলীয় শৃঙ্খলা, ঐক্য ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যই একজন প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীর সবচেয়ে বড় পরিচয় আর সেটিই আমার জীবনের অহংকার।”
সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি সকল নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা যে ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থন আমাকে দিয়েছেন, তা আমি কখনো ভুলব না। ইনশাআল্লাহ, দল ও দেশের যে কোনো প্রয়োজনে আমি অতীতের মতোই নিষ্ঠা, সততা ও সাহস নিয়ে পাশে থাকব। ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, বরং সমষ্টিগত লক্ষ্যই আমাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্য অর্জনে বিএনপির পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ থেকেই আমরা একদিন গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনব এই বিশ্বাস নিয়েই আমি আমার পথচলা অব্যাহত রাখব।”








































আপনার মতামত লিখুন :