Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

জকিগঞ্জে রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি


দৈনিক পরিবার | মোঃ হাবিবুর রহমান এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম জকিগঞ্জে রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি

সিলেটের জকিগঞ্জে  ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়নের  গন্ডারগড় গ্রামের চলাচলের রাস্তা নিয়ে সনাতন ধর্মালম্বী দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে। যেকোনো সময় তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। একপক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে আদালত ও থানায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি নানা পন্থা অবলম্ভন করছেন। প্রায় বছর দিন ধরে চলমান বিরোধ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সপ্তাহ দিন ধরে উভয় পক্ষে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’পক্ষের একপক্ষে রয়েছেন উপজেলার দক্ষিণ গন্ডারগড় গ্রামের রাজেন্দ্র বিশ্বাস, রাজু বিশ্বাস, মনজিত বিশ্বাস।
অন্য পক্ষে রয়েছেন রোমন বিশ্বাস, হীরা মোহন রায়। তারা উভয় পক্ষই একে অপরের প্রতিবেশি ও নিকট আত্মীয়। জানা গেছে, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে দুই গ্রামের মানুষ মিলেমিশে উত্তর গন্ডারগড়ে অবস্থিত কালীমন্দিরে একত্রে সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই রাস্তা ব্যবহার করে আসছিলেন। কিছুদিন পূর্বে দুই গ্রামের মন্দির নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলে দক্ষিন গন্ডারগড়বাসী নতুন একটি মন্দির করে পৃথক হয়ে যান। ফলে দক্ষিণের মানুষ আর উত্তরে যাওয়ার তেমন কোন প্রয়োজন নেই। উত্তর গন্ডারগড়ের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে গর্দিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোনাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ সোনাসার ও জকিগঞ্জ বাজারের যাতায়াত করা ছাড়া কোন উপায় নেই।  দক্ষিণ গন্ডারগড়বাসীর দাবি তাদের বাড়ির ভিতর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর গন্ডারগড়ের মানুষ চলাচল করছেন। অতীতে উত্তরে একটি মন্দির থাকার কারণে তাদের মালিকানা দিন জায়গা রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করেছেন।
এটি কোন রাস্তা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও জনপ্রতিনিধি ও উত্তর গন্ডারগড়বাসী সরকারি রাস্তা হিসেবে দাবি জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় একাধিক বার সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটি দীর্ঘদিনের পুরনো একটি রাস্তা এই রাস্তা দিয়ে এক সময় দক্ষিণ গন্ডারগড়ের লোকজন উত্তরের কালি মন্দিরে যাতায়াত করত।  এ ব্যাপারে কসকনকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মঈন বলেন- আমি এই রাস্তা নিয়ে বিরোধ নিরসনের জন্যে উত্তর ও দক্ষিণ গন্ডারগড় গ্রামের মানুষদের নিয়ে আপোষ মীমাংসা চেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে উত্তর গন্ডারগড় গ্রামের মানুষ আমানত জমা দিলেও দক্ষিণ গন্ডারগড়ের মানুষ এখনো জমানত জমা দেন নি। রাস্তা হলে উভয় গ্রামের মানুষের কাজে আসবে তাই প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকেও আমরা রাস্তার জন্য সহযোগিতা করবো। জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিতি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করছেন। আমি আশা করি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সুন্দর একটি সমাধান আসবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেখা দিলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Side banner