পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া বন্ধ করায় হিলিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ক্রেতারা। ১৯ আগস্ট থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে বেশ কয়েকটি ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক রয়েছে। এছাড়া খুচরা বাজারেও সরবরাহ রয়েছে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ। ৪-৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। আমদানি করা ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন সেটি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন মানভেদে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলাম। হঠাৎ করে আইপি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি নতুন করে আইপি না দেওয়ায় আমদানি বন্ধ। আগে অনুমতি পাওয়া দুই এক ট্রাক পেঁয়াজ আসছে কিন্তু তা দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব না যার কারণে বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত আইপি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ করে দিবে সরকার। এতে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, আমদানি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছিল। দাম কম হলে ব্যবসা করতে আমাদেরও ভালো হয়। আমদানি বন্ধের কারণে দামও বেড়েছে অনেক। ৪৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৫৫ টাকা। আবার দেশি পেঁয়াজতো এক লাফে ৬৫ টাকা থেকে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে উদ্ভিদ সংগোনিরোধের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, বন্দর দিয়ে বেশকিছু আমদানিকারককে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তবে ১৯ তারিখের পর নতুন করে পেঁয়াজের আর আইপি ইস্যু হয়নি।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, আমদানি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় ৭০ ট্রাকে দুই হাজার ৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :