নাটোরের বাগাতিপাড়ার দেলোয়ার হোসেন দুলুর বয়স ৫২। বয়সের ভার বা সমাজের কটু কথা কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। শিক্ষা জীবনের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে তিনি ফেরার চেষ্টা করেছেন ৩৫ বছর পর। চলতি বছর কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে ইংরেজিতে পাস না করতে পারায় এবারও কাঙ্খিত সাফল্য ধরা দেয়নি।
জানা গেছে, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগড় ইউনিয়নের করমদোশী পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা দুলু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। দায়িত্ব পালন আর সন্তানদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতে গিয়ে আবারও পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। গোপনে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং এবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ী দারুল খায়ের সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন।
ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন। ১৯৮৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে জুনিয়র বৃত্তি পেয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও এক অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বহিষ্কার করেন। এরপর মানসিক আঘাত ও রাগ-ক্ষোভে পড়াশোনার ইতি টানেন।
এবার অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে পরীক্ষা দিলেও ইংরেজিতে অকৃতকার্য হন দুলু। তবে হাল ছাড়তে নারাজ এই মানুষটি।
তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। একটা ঘটনার জন্য থেমে গিয়েছিল সবকিছু। এখন সেই স্বপ্নকে আবার বাস্তব করতে চাই। সমাজ যাই বলুক, আমি থামবো না। ইংরেজিতে পাস করতে না পারলেও চেষ্টা চালিয়ে যাব। আগামীবার নিশ্চয়ই পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :