Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

বিকেলের নাশতায় ছোট পরিবর্তনে কমবে পেটের মেদ


দৈনিক পরিবার | জীবনযাপন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম বিকেলের নাশতায় ছোট পরিবর্তনে কমবে পেটের মেদ

দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে ছোট একটি পরিবর্তনই অনেক সময় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে নাশতার ক্ষেত্রে সঠিক খাবার বেছে নিলে শুধু ক্ষুধাই নিবারণ হয় না, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুষ্টিবিদ ভায়োলেটা মরিস, ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঠিক এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। নিজের নাশতায় সামান্য পরিবর্তন এনে তিনি শুধু শক্তি বাড়াননি, বরং পেটের মেদও কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
নাশতা যে কারণে জরুরি
অনেকের কাছে নাশতা হয়ত স্রেফ মুখরোচক খাবার, তবে এর গুরুত্ব অনেক গভীর। ভায়োলেটা মরিস বলেন, নাশতা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সারাদিনের শক্তির স্তরকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। শুধু বড় তিনবেলা খাবারের ওপর নির্ভর না করে মাঝেমধ্যে সঠিক নাশতা খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অযথা অতিরিক্ত ক্ষুধা বাড়ে না।
অর্থাৎ, সঠিক নাশতা খাবার মানে হল- অল্পতেই পেট ভরানো, শক্তি পাওয়া এবং পরের খাবারে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমানো।
কোথায় ভুল হয়?
যদিও নাশতা আমাদের জন্য সহায়ক, তবে অনেক সময় তা উল্টো ফল দেয়। মরিসের মতে, নাশতার ভুল হয় তখনই, যখন তা পরিকল্পনাহীনভাবে, খুব ঘন ঘন বা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়। বিশেষ করে বেশি চিনি, ময়দা বা চর্বিযুক্ত খাবার নাশতায় জায়গা পেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়। আবার দ্রুত কমে গিয়ে ক্ষুধা, অস্থিরতা ও খিটখিটে মেজাজ তৈরি করে। অতএব, শুধু নাশতা খেলেই হল না— কী ধরনের নাশতা খাচ্ছি সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
শুধু ফল যথেষ্ট নয়
ফলকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলেই জানি। তবে মরিস নিজেই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছেন, শুধু ফল খাওয়ার মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তিনি বলেন, প্রায় বিকেলেই শুধু একটি কলা বা কিছু তরমুজ খেতাম। এগুলো ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হলেও, এককভাবে খেয়ে দেখলাম রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। এখানে তিনি একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন— ধারাবাহিক গ্লুকোজ মনিটর। যদিও তিনি ডায়াবেটিস রোগী নন, তবুও বুঝতে পেরেছিলেন শর্করার ওঠানামা সবারই অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। তাই তিনি পরামর্শ দেন, ফল অবশ্যই খেতে হবে, কিন্তু খাওয়ার কৌশল বদলাতে হবে। ফল খাবেন খাবারের পর কিংবা প্রোটিন বা স্বাস্থ্যকর চর্বির সঙ্গে মিলিয়ে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ফলের সঙ্গে কী খাওয়া উচিত
মরিস পুরোপুরি ফল বাদ দেননি। বরং তিনি সেটিকে আরও কার্যকর করেছেন। তার ভাষায়, আমি ফলের সঙ্গে এক মুঠ ব্রাজিল নাট বা কাঠবাদাম খাওয়া শুরু করলাম। ফলে আমি পেলাম ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আবার বাদাম থেকে পেলাম প্রোটিন ও ভালো চর্বি। এই সহজ জুটি তার নাশতাকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে এবং রক্তে শর্করার দ্রুত ওঠানামা ঠেকিয়েছে।
নতুন নাশতার সুফল
এই ছোট্ট পরিবর্তনই ভায়োলেটা মরিসের জীবনধারায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, নাশতায় অন্তত ১০ গ্রাম প্রোটিন, সঙ্গে আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি রাখার চেষ্টা করি। এতে আমি দীর্ঘসময় তৃপ্ত থাকি এবং দ্রুত গ্লুকোজ স্পাইক এড়াতে পারি। এর ফলস্বরূপ, বারবার ইন্সুলিন নিঃসরণ কমেছে। দিনে ইন্সুলিনের পরিমাণ কম ব্যবহার হলে শরীর সহজেই পেটের মেদ ঝরাতে পারে।
মরিস বলেন, এই সচেতন পরিবর্তন আমাকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করেছে এবং শেষ কয়েক পাউন্ড ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়ক হয়েছে।

Side banner