মালদ্বীপের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মুসা জমির বলেছেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা মালদ্বীপের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অনুপ্রেরণামূলক উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। দুই দেশের সরকার প্রধানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যকার গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তার বক্তব্যে শুরুতেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ত্যাগের কথা স্মরণ করে দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দুই দেশের শান্তি ও সংস্কৃতির বন্ধন অভিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ দরিদ্রতা, বিশ্ব শান্তিরক্ষা, শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও অবকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মালদ্বীপের ভূমিকার প্রশংসা করেন ও সব দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে কেক কাটা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে ভ্রমণ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগত অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে র্যাফেল ড্র আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ী হয়ে ঢাকা-মালের রিটান থেকে গ্রহণ করেন জাপানের ডেপুটি হাইকমিশনার মিস্টার কুঁজো।
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মুসা জমির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী হায়দার আহমেদ, ক্রীড়া মন্ত্রী আব্দুল্লাহ রাফিউ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইব্রাহিম লতিফ, স্বাস্থ্য মন্ত্রী আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইব্রাহিম লতিফ, ডিসি (অবসরপ্রাপ্ত), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত)স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম এবং মালদ্বীপ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ড. মাহমুদ শৌগী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :