প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে, যেন বন্যা ও ঘুর্নিঝড় এলাকায় প্রকৃত প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতেই সাইক্লোণ শেল্টার নির্মাণ করা হয়। তাই বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকাগুলোর মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র সরেজমিনে দেখে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাইক্লোণ সেল্টার মাঠ পর্যায়ের সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই শেষে এ কথা বলেছেন ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতিক।
জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় সাইক্লোণ সেল্টার নির্মাণের উদ্েযাগ নিয়েছে। ওই প্রকেল্পর আওতায় আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তালতলী উপজেলা পুর্ব কচুপাত্রা সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবিত আশ্রয় কেন্দ্রের সম্ভাব্যতা যাছাই করতে শনিবার ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতিক আমতলীতে আসেন। প্রথমে উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি চিনা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তালতলী উপজেলার পুর্ব সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরির্দশন করেছেন। তিনি উপজেলার নির্ধারিত স্থানে প্রস্তাবিত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের উপযুক্ততা পর্যালোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অবকাঠামোগত অবস্থা, স্থানীয় জনবসতি, দুর্যোগকালে আশ্রয় সুবিধা ও এলাকার সার্বিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব (যুগ্মসচিব) লে. কর্নেল মো. আব্দুল গাফফার (অব.), বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. রায়হান কাওছার, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খানসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সাইক্লোণ শেল্টার নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্থায়ী অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে দ্রুত সাইক্লোণ শেল্টার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :