কেশবপুর উপজেলায় ২০২৪ সালে কুরবানির উপযুক্ত পশুর মজুদ আছে ১৪ হাজার এবং কুরবানির পশুর চাহিদা ১১ হাজার ৮০২ টি পশুর। উপজেলায় কুরবানির সবচেয়ে বড় পৌরসভার পশুর হাটে কুরবানী উপলক্ষে বেচাবিক্রি তেমন কোনো প্রভাব নেই। যার কারণে পশুর হাট ইজারাদার হতাশ হয়ে পড়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকী। এই ঈদে পশু কুরবানির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এবছর কেশবপুর পৌর সভার পশুর হাটে পশু বেচা-বিক্রির তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তার জন্য হাট ইজারাদার কতৃপক্ষ হাটের ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে উপজেলায় কুরবানির উপযুক্ত পশু রয়েছে ১৪ হাজার ৯৬ টি। এরমধ্যে গরু রয়েছে ৩ হাজার ৮১৫ টি ও ছাগল রয়েছে ১০ হাজার ২৫৬ টি। উপজেলায় কুরবানির চাহিদা রয়েছে গরু ছাগল মিলে ১১ হাজার ৮০২ টি। রপ্তানি যোগ্য পশু রয়েছে ২ হাজার ২৯৪ টি।
গত সোমবার ছিলো কেশবপুর পৌর শহরে সবচেয়ে বড়ো পশুর হাট। পৌর শহরে পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে সে এক ভিন্ন চিত্র। কুরবানী উপলক্ষে পশু হাটে গরু ছাগলের আমদানি খুবই কম এবং তেমন কোনো বেচা-কেনা নেই। গতবছর কুরবানির পশুর হাটে গরু-ছাগলের আমদানি এতো বেশি ছিলো যে হাটে তিলধারণের ঠাই ছিলো না। আর এবছর সেই হাট একেবারে ফাঁকা। ছাগলের ব্যবসায়ী মধ্যকুল গ্রামের আবুল হোসেন বলেন ছাগলের আমদানি কম, বাইরে থেকে কোনো ব্যাপারী হাটে গরু-ছাগল পাইকারি দরে কিনতে আসেনি। বিক্রি নেই, ছাগলের মূল্যও খুব কম।
পশুর হাট ইজারাদার অহেদু-উজ্জামান বলেন, পৌর সভার পশুর হাটে খুব বেহাল অবস্থা। পশুর হাটে গরু-ছাগল রাখার উপযুক্ত স্থানের খুব অভাব। ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলের খুব সমস্যা। এখানে পয়নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। যার কারণে হাটে গরু-ছাগল পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখন আর আসতে চায়না। তাছাড়া পৌর সভার আশেপাশে আরো কয়েকটি পশুর হাট গড়ে উঠেছে। যার কারণে পৌর সভার পশু হাটের গুরুত্ব কুমেগেছে। এবছর ইজারা গ্রহনের টাকা উশুল হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। যার ফলে তারা খুব হতাশ হয়ে পড়েছে। কেশবপুর পৌর সভার পশুর হাটের যৌবন ফিরাতে হলে হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তবে এবছর কুরবানী দাতাদের বেচাকেনা সুবিধার জন্য আগামী বুধবার ও ঈদের দিন পশুর হাটে যথারীতি পশু বিক্রি বহে।
আপনার মতামত লিখুন :