Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


দৈনিক পরিবার | নওগাঁ প্রতিনিধি জুলাই ৫, ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর সেই শিক্ষা যারা প্রদান করেন তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। 
স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের মানুষের স্কুলের নামে দানকৃত কিছু জমি ও পুকুরের লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, স্কুলের জায়গা আমাদের বাপ দাদার দানকৃত তাছাড়াও খতিয়ানভুক্ত স্কুলের নামে কিছু জমিও পুকুর রয়েছে। পুকুর ও জমির লিজের টাকা কোন খাতে ব্যয় হয় এ বিষয়ে আমরা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাদের কোন সদুত্তর দেয়নি এবং এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বারবার এ বিষয় এড়িয়ে যান। 
স্কুলের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করা এক ব্যক্তি জানান, আমি এ বছর ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে স্কুলের দুই বিঘা জমি ডাকের মাধ্যমে বর্গা নিয়ে চাষ করছি। আমার জানা মতে স্কুলের নামে পুকুর সহ ৫ থেকে ৭ বিঘা জমি আছে। সেসব জমিও পুকুর ডাকের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হয়। আর লিজ দেওয়া টাকা প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে থাকে। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিমুলিয়া গ্রামের দুইজন প্রবীণ ব্যক্তির কাছ থেকেও উক্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তারা বলেন, প্রতিবছর লিজ থেকে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা আদায় করা হয়। সেই টাকার কোন কাজে ব্যয় করা হয় তা আমরা জানিনা। স্কুলের টাকা আয় ও ব্যায়ের হিসাব স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি  ভালো জানেন।
তারা আরো বলেন, স্কুলে টয়লেট নষ্ট, দালানের প্যালেস্টার খসে পরছে, দেওয়ালের রং উঠে গেছে, ছেলে মেয়েদের রুমের সমস্যা, শিক্ষকরা মাঝে মাঝে ক্লাস ফাঁকি দেন।
গ্রামবাসী বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক কোনদিন আমাদের স্কুলের জমি ও পুকুরের লিজ দেওয়া টাকার হিসাব দেয়নি। আমরা চাই স্কুলের টাকা স্কুলের কাজে লাগুক কেউ যেন সে টাকা লুটপাট করে খেতে না পারে। স্কুলের টাকা লুটপাট ঠেকাতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।
শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি স্কুলে যোগদানের পর থেকে স্কুলের যতটুকু কাগজ পেয়েছি তার হিসাব আমার কাছে আছে। আর এ বিষয়ে  স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সেলিম ও স্বাধীন তারাই বেশি ভালো বলতে পারবে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সে অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাযহারুল ইসলাম বলেন, স্কুলের সম্পদ ব্যাক্তিগত ভাবে লিজ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই আর স্কুলের নামে সম্পদ রয়েছে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাদের কিছুই জানায়নি এবং স্কুলের শিক্ষকরা মাঝে মাঝে দেরিতে স্কুলে আসেন এ বিষয়েও আমি অভিযোগ পেয়েছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা আগে জানতাম না তবে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য আমরা তদন্ত টিম পাঠাবো। কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Side banner