Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

পাকা কলা ঘুষ নেওয়া জেলা পরিষদের সেই আলমগীর বরখাস্ত


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম পাকা কলা ঘুষ নেওয়া জেলা পরিষদের সেই আলমগীর বরখাস্ত

যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানিতে ঘুষ না নিয়ে পাকা কলা খাওয়ার কথা স্বীকার করা জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদ তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যান তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৬ অক্টোবর যশোরে দুদকের গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
গণশুনানিতে বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের নামে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছেন। ঘুষ না দেওয়ায় দোকানের ডিসিআর রশিদ ফেরত নিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের জবাবে আলমগীর হোসেন দাবি করেন, তিনি ঘুষ নেননি। আনোয়ারুল ইসলাম তার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছিলেন, তাই দাওয়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাকে পাকা কলা খাওয়ানো হয়। তিনি শুধু কলা খেয়েছেন। এ সময় শুনানিতে উপস্থিতদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। পরে দুদক চেয়ারম্যান দোকান বরাদ্দের নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে তাকে তাৎক্ষণিক সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন এবং অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীনকে। এ সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, দোকান বরাদ্দে ঘুষ গ্রহণ ছাড়াও ডিসিআর প্রদান নিয়ে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান ২৬ অক্টোবর তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৫ নভেম্বর তার বরখাস্ত কার্যকর করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আলমগীর হোসেনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন বলেন, উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ছুটিতে থাকায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লেগেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতিও চলছে। মামলা দায়েরের পর তদন্ত শুরু হবে।

Side banner