ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদার দাবিতে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত যুবদলকর্মী মো. আলাউদ্দিন (৪০) ও উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন (৩০)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে দৌলতখান থানার ওসি মো. মহব্বত খান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইয়াছিনের ছেলে ও ফরিদ একই ইউনিয়নের নেজামুল হকের ছেলে।
তিনি আরো জানান, আজ বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে মামলার ২ নম্বর আসামি মো. ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন রবিবার তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের মাওলাকান্দি এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে এরা দুই জন সরাসরি জড়িত। এর আগে ২৯ জুন ভুক্তভোগী স্বামীর মামলার আলোকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সহায়তাকারী ঝর্ণা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর গতকাল বুধবার দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. মানিক (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. মহব্বত খান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মামলার এক নম্বর ও দুই নম্বর আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ২৯ জুন দুপুরের দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লার পুকুর এলাকায় স্বামীকে মারধরের পর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামিকে করে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনাটি ভোলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।








































আপনার মতামত লিখুন :