নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়নসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিশেষ করে ডেনমার্কের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আইএমও কনভেনশন বাস্তবায়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং সমুদ্র দূষণ রোধে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
আসন্ন (২০২৬-২৭ মেয়াদে) ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের নির্বাচনে ক্যাটেগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে ডেনমার্কের সমর্থন কামনা করেন উপদেষ্টা। তিনি আইএমওভুক্ত সব সদস্য রাষ্ট্রের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ডেনমার্কের পক্ষেও আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন।
জবাবে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত ডেনমার্কের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইএমওর কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা জানান।
উপদেষ্টা গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন, জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (এনটিসিসি) পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে ডেনিশ রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং আইএলওর মানদণ্ড অনুযায়ী সরকার চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন সম্পন্ন করবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এ আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :