অবশ্য ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতে যদি জিজ্ঞেস করা হতো ফাইনাল কে খেলবে, নির্দ্বিধায় বেশিরভাগ সম্ভবত পাকিস্তান-আফগানিস্তানের কথাই বলত। তাদের একজনকে টপকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাইনাল খেলা হতো বড় চমক। সেই চমক যে ঘটছে না তা প্রায় অনুমেয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে সিরিজ শুরু করা আফগানরা দ্বিতীয় দেখায় (১৮ রানে জয়) শোধ তুলেছে। একইসঙ্গে দুজনেরই ৩ ম্যাচ শেষে সমান ৪ পয়েন্ট করে।
মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। তাদের প্রায় পুরো রানই এসেছে দুই ওপেনার সেদিকউল্লাহ অটল ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে। বিপরীতে পাকিস্তান লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন দশম ব্যাটার হারিস রউফ। ৯ উইকেটে পাকিস্তানের লড়াই থামে ১৫১ রানে।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানেই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৮) আউট হয়ে যান। সাইম আইয়ুবের শট লেংথে ফেলা বল উড়িয়ে মারতে গিয়েন বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর সেদিকউল্লাহ-ইব্রাহিম মিলে গড়েন ১১৩ রানের জুটি। সেই জুটিই মূলত আফগানিস্তানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির ভিত গড়ে দেয়। ৪৫ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৬৪ এবং ৪৫ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৫ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। সেদিকউল্লাহ’র বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ফলে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। গুরবাজ বাদে বাকি ৪ ব্যাটারকেই ফিরিছেন পাকিস্তানের পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। ৪ ওভারে তিনি ২৭ রান দেন।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৮ রানেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন পাক ওপেনার সাইম আইয়ুব। শাহিবজাদা ফারহানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ বলে ১৮ রানে বিদায় নেন তিনি। দুজনকেই ফেরান ফজলহক ফারুকি। বাকি সময়ে পাকিস্তানি ব্যাটারদের ওপর আফগান স্পিনাররা ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ফখর জামান (২৫), সালমান আলি আগা (২০), মোহাম্মদ নওয়াজ (১২) এবং ফাহিম আশরাফরা থিতু হতে হতেও আউট হয়েছেন দ্রুত। শেষদিকে ঝড় তোলেন হারিস রউফ। ১৬ বলে ৪ ছক্কায় তিনি ৩৪ রান করেন।
রউফ অপরাজিত থাকলেও দলের ১৮ রানের হারে প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। বিপরীতে আফগানদের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ফারুকি, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি ও নুর আহমদ।
আপনার মতামত লিখুন :