বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি গাইবান্ধা পৌর শাখার পুনরায় কাউন্সিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। পৌর বিএনপির একাংশ মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সুবিধাবাদীদের অর্থের বিনিময়ে কাউন্সিলর বানিয়ে ও পারিবারিক পকেট কমিটির মাধ্যমে গত ১১ অক্টোবর গাইবান্ধা পৌর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাড. একেএম হানিফ বেলাল। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ১নং ওয়ার্ড ব্যতীত বাকি ৮টি ওয়ার্ডে দলীয় গঠনতন্ত্র অবজ্ঞা ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কাউন্সিলর করা হয়েছে। পৌর বিএনপির আহবায়ক শহিদুজ্জামান শহীদ ও সদস্য সচিব মো. মোস্তাক আহমেদ নিজেদের ইচ্ছামত ওয়ার্ড কমিটিতে ভোটার অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যারা আগে কোনোকালেই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করা হয়। এরপর গত ২ অক্টোবর রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেককে ৮টি ওয়ার্ডের পারিবারিক ও পকেট কমিটি চিহ্নিত করে তাদের তালিকা দিয়ে কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। কিন্তু বাদপড়া পুরাতন সদস্যদের মধ্য থেকে ৭টি ওয়ার্ডের মাত্র ৭ জনকে কমিটিতে চূড়ান্ত কাউন্সিলর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে দ্রুত সম্মেলন ও কাউন্সিলরের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কাউন্সিলে তারা নগ্ন হস্তক্ষেপও করেন। পৌর বিএনপির নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন ও অনিয়মের কারণে কাউন্সিল বাতিল করে পরীক্ষিত ও কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় কাউন্সিলের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সেলিম, সাবেক জেলা সদস্য রফিকুল ইসলাম লুলু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমান উল্যাহ চৌধুরী সাজু, এসএম কামাল হোসেন, ফরহাদ আলম ডাবলু, সাবেক সদস্য সচিব লোটাস খান, সাবেক সদস্য মোস্তাক হোসেন ডলার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :