চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ফিরতি লেগ খেলতে যাবার আগে দারুন প্রত্যয়ী প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে গোলের রেকর্ড গড়া কিলিয়ান এমবাপ্পে। গতসপ্তাহে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়া ফরাসি এই তারকা এবার বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাটিতে হারিয়ে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে দিতে চান।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠেই বায়ার্নের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছে পিএসজি। ইনজুরির কারণে গত মাসে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে কিছুক্ষন খেলেই সাইডলাইনে চলে যেতে হয়েছিল ফরাসি তারকাকে। তবে স্বল্প সময়ের ওই খেলাতেই নিজেকে দারুনভাবে মেলে ধরেন ২৪ বছর বয়সি ফরাসি সুপার স্টার। এমনকি একটি গোলও করেছিলেন তিনি। যেটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ক্ষনিকের ওই পারফমেন্সই বলে দিয়েছে প্যারিস জায়ান্টদের অগ্রাভিযানে যে কোন কিছুই করতে পারেন এমবাপ্পে।
ওই ম্যাচের পর ইনজুরি থেকে ফিরে লিগ ওয়ানে টেবিল টপারদের তিনটি জয় উপহার দিয়েছেন এমবাপ্পে। ক্লাবের অগ্রাভিযানে ১১ গোল করেছেন তিনি। গত শনিবার নঁতের বিপক্ষে ঘরোয়া লিগে ৪-২ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচেও গোল করেছেন এমবাপ্পে। যার সুবাদে তিনি উরুগুইয়ান তারকা এডিনসন কাভানির ২০০ গোলের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যান। ২০১৭ সালে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর মাত্র সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে নতুন ক্লাব রেকর্ডর মালিক হন এমবাপ্পে।
গত ডিসেম্বরে আরো একটি বিরল সাফল্য পান এমবাপ্পে। ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্ট এর পর প্রথম কোন খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটিট্রিক করেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। এখ নপর্যন্ত পিএসজির জার্সিতে ২৪৭টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ২০১ গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
রেকর্ড গড়ার পর মাঠেই ওই কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে পিএসজির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রফি তুলে দেয়া হয় এমবাপ্পের হাতে। এ সময় তিনি বলেন,‘ প্রত্যেক ফুটবলার নিজের একটি চিহ্ন রেখে যাবার চেস্টা করেন। যাতে ফুটবলের ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে থাকতে পারেন। যাতে কেউ তাকে ভুলে না যায়। আমার মনে হয় এই রকর্ডটির কারণে মানুষ আমাকে মনে রাখবে।’
ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিগত সাতটি আসরে চারবার নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি। এবারের আসরেও প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হেরে পিছিয়ে রয়েছে প্যারিস জায়ান্টরা। এবার বিদায় নিলে সেটি হবে ক্লাবটির জন্য পঞ্চমবারের মতো নকআউট থেকে বিদায়।
এমবাপ্পে বলেন, আমার পুরোটা মনোযোগ এখন বুধবারের ম্যাচের দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়েই আমরা মিউনিখ সফরে যাচ্ছি। আমি যদি ক্লাবের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে শুধু নিজের ভবিষ্যতের কথা ভাবতাম, তাহলে অনেক আগেই ক্লাব ছেড়ে চলে যেতাম। তবে আমি এখনো এখানেই (পিএসজি) আছি এবং এখানে থাকতে পেরে খুশি। আমি (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) পিএসজির সফলতা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না।
আপনার মতামত লিখুন :