Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ডাক্তার এ কে মাহবুবুল হক (অব.) 

মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ


দৈনিক পরিবার | মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পামেন এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ

তিতাস বহমান শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পাদপীঠ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। এই জেলার প্রমত্তা মেঘনার কোলঘেষা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি বাঞ্ছারামপুর। এই বাঞ্ছারামপুরে দেশবরেণ্য অগণিত কৃতি সন্তানের জন্ম হয়েছে। তাদেরই একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ডাক্তার এ কে মাহবুবুল হক (অব.) এমবিবিএস, পিজিটি,  সিসিডি, এমপিএইচ, এমফিল। ডাক নাম জজ সাব। তবে বাঞ্ছারামপুরবাসীর কাছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব সাহেব নামেই বেশি পরিচিত। 
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার এই কৃতি সন্তান ১৯৬৪ সালের ১ আগস্ট উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল গফুর মাস্টার এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় জড়িত ছিলেন। তার মাতা মিসেস রাবেয়া বেগম একজন গর্বিত জননী এবং সমাজসেবায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। তারপর ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। পরে ১৯৭৯ সালে রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৮১-৮২ সেশনে চট্টগ্রাম সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। ১৯৮৮ সালে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। সেখানে এক বছর ইন্টার্ণ ট্রেনিং সম্পন্ন করে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিকেল কোরে সরাসরি ক্যাপ্টেন পদে যোগদান করেন। কোর্স এমওবিসি-২৫ (বিএমটিসি-১) যা ১৬তম বিএমএ লং কোর্সের সমসাময়িক।
বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী চট্টগ্রাম (বিএমএ) পরে আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার এন্ড স্কুল রাজশাহী ও আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট, ঢাকা তে ৬ মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেন। 
বাঞ্ছারামপুরের গর্বিত সন্তান মাহবুবুল হক ১৯৯৪ সালে মেজর, ২০০৯ সালে লেফটেনেন্ট কর্ণেল, ২০১১ সালে কর্ণেল এবং ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবীতে পদোন্নতি পান। কর্মজীবনে অত্যন্ত সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মেধাবী এই ওয়ান স্টার জেনারেল সেনাবাহিনীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরি করেন।
তিনি বিভিন্ন ফিল্ড মেডিকেল ইউনিটের মেডিকেল অফিসার, এএমসি সেন্টার এন্ড স্কুলের ডি কিউ (রেকর্ডস), আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের জিএসও- ২ ট্রেনিং, ১১ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের উপ অধিনায়ক ও পরবর্তীতে অধিনায়ক, ২০১০ সাল পর্যন্ত সিএমএইচ সাভারের অধিনায়ক, সামরিক চিকিৎসা মহাপরিদপ্তরের এডিজিএমএস (স্বাস্থ্য), ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেটের এডিএমএস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
মাহবুবুল হক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও পাশাপাশি সিলেট শহীদ ডাক্তার সামছুদ্দিন সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এনাটমি বিভাগ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ও পরবর্তীতে  ২০২০ এর ৩১ আগষ্ট এলপিআর এ আসেন। 
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে ১ বছর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। চাকুরিকালীন সময়ে ডায়াবেটোলজীর উপরে (সিসিডি) বারডেম থেকে ১ বছর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) থেকে মাস্টার্স অব ফিলোজফি (এমফিল) ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি ওকেপি-৫ কুয়েত মিশন এবং সুদানে ইউএন মিশনে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে র্কমরত রয়েছেন। 
বাঞ্ছারামপুরের কৃতি সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী মাহবুবুল হক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার বাবা আব্দুল গফুর মাস্টার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গফুর মাস্টার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সহায়ক ছিলেন। নিজের দুই ছেলেকে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। মাহবুবুল হকের বড় দুই ভাই বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণকালে স্বশরীরে রেসকোর্সের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতার ডাকে মাহবুবুল হকের বড় দুই ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে মোজাম্মেল হক নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে মোজাম্মেল হক জাতির পিতার একনিষ্ট সৈনিক।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হকের পরিবারের সদস্যের পাশাপাশি তাদের নিকট আত্মীয় স্বজন অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার আপন তিনজন খালাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বদিউজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছাইদুজ্জামান সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাছাড়া তার চাচাতো ভাই সুবেদার জয়নাল আবেদিনও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এখানেই শেষ নয়। তার আপন মামা কাঞ্চনপুর গ্রামের আবদুল ওয়াজেদ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। তার আপন ভগ্নিপতি এ কে এম ফজলুল হক তিন বার পাক বাহিনীর হাতে অত্যাচারিত হন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সহায়ক ছিলেন। উল্লেখ্য মাহবুবুল হকের চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার জয়নাল আবেদিন যুদ্ধকালিন সময়ে প্রথম ৩ মাস পাকিস্তানে আটক ছিলেন। পরে পালিয়ে দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। 
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক একজন অত্যন্ত মানবিক মানুষ হিসেবে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের নিকট সুপরিচিত। তার বাবা আব্দুল গফুর মাস্টার আমৃত্যু শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় জড়িত থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষায় প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার মানসেই চিকিৎসা সেবার মতো মানবিক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন মাহবুবুল হক। তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে মোজাম্মেল হকও মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তার বড় বোন মনুজান বেগম ও ফরিদা আক্তার সুশিক্ষায় শিক্ষিত। তারা দুজনেই গৃহিনী। মাহবুবুল হকের ছোট ভাই এ কে এনামুল হক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং ইউনিয়ন যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। 
মাহবুবুল হকের স্ত্রী লায়লা সানজিদা উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত। তিনি গৃহিনী। মাহবুবুল হক ও লায়লা সানজিদা দম্পত্তি সাদিয়া মেহরীন মিম, সুমাইয়া মাহজাবিন মাহী ও তাফহীম আফ্ফান সাবিক এর গর্বিত বাবা মা।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক সেই ছোটবেলা থেকেই বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েই বিভিন্ন সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত হন। কিশোর বয়সেই বাবা ও বড় ভাইদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস শুনে ও নিজ চোখে মুক্তিযুদ্ধ দেখে বড় হন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। দুই বছর ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসার পর  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সমর্থক হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন। 
আশির দশকের মাঝামাঝিতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা রাখেন। নিজ এলাকায় ছাত্র যুব ঐক্য সংঘ গড়ে তোলেন। ৯০ দশকের পূর্বে অর্থাৎ সেনাবাহিনীতে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে তিনি যোগদান করেন। 
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করেই পথ চলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে চাকুরীতে ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত সময়ে স্বাধিনতা বিরোধী মহলের চাপে ছিলেন। কিন্তু জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ থেকে তিনি বিচ্যুৎ হননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে তিনি লেফটেনেন্ট কর্ণেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবী পর্যন্ত প্রমোশন পান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ সময়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ জাগ্রত ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা, ইউনিভার্সেল সিনিয়র সিটিজেন হেলথ এন্ড হসপিটাল কমপ্লেক্স প্রকল্প শ্রীমঙ্গল এর ইনডিপেনডেন্ট প্যানেল অব এক্সপার্ট (অবসর) এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাবেয়া গফুর জন কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। সামাজিক এই সংগঠনের মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের চিকিৎসা, সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের শাহরাহাত আলী ছাত্র যুব ঐক্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক। ১৯৮৯ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। উন্মুক্ত লাইব্রেরী বাঞ্ছারামপুরের প্রধান উপদেষ্টা, রঙ্গিন বাক্স, ক্যান্সার রোগীদের সহায়তা সংঘের প্রধান উপদেষ্টা, তেজখালী ছাত্র কল্যাণ সংঘের প্রধান উপদেষ্টা এবং একটি গ্রাম একটি পরিবার সামাজিক সংগঠন ভূরভুরিয়ার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও নিয়োজিত রয়েছেন। এসব সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। 
বাঞ্ছারামপুরের গর্বিত সন্তান মাহবুবুল হক চিকিৎসা সেবার মতো মানবিক পেশায় সম্পৃক্ত থেকে উপজেলার হাজার হাজার মানুষের সেবা করেছেন। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গায় দাঁড়িয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন মাহবুবুল হক। চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করলেও তিনি অবসর নন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সাথে বাঞ্ছারামপুরের মাটি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে লেখালিখি করছেন। বিশেষ করে তার লেখনিতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সম্প্রতি তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। অনন্যধারা প্রকাশনী থেকে “স্মৃতিকথা ও পটভূমি-এক নয় ৭১” বইটি দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। 
মানবিক মানুষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক আগামীদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক এলাকার পাশাপাশি দেশ ও জাতির উন্নয়নে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহ দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
লেখক : মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পামেন
সদস্য : বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদ
উপ দপ্তর সম্পাদক : আমরা ক’জন মুজিব সেনা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ
 

Side banner