Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

শতাধিক পদের দায়িত্ব ফটিকছড়ির ইউএনও’র কাঁধে


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার মে ১১, ২০২৫, ১২:২৮ পিএম শতাধিক পদের দায়িত্ব ফটিকছড়ির ইউএনও’র কাঁধে

আইনশৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা প্রদান কার্যক্রম, সরকারি জমি উদ্ধার, ভেজাল বিরোধী অভিযান, বিভিন্ন দিবস উদযাপনসহ উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।  
বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ফাইল-পত্রে স্বাক্ষর করা ছাড়াও নানান সামাজিক ও মানবিক কাজে ব্যস্ত।
ফটিকছড়িতে দুই পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়ন পরিষদসহ ১৫০টির অধিক পদের দায়িত্ব একাই সামলাতে হচ্ছে ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে।  
জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসা মিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৯২টি। তার মধ্যে কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অ্যাডহক কমিটি থাকলেও অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এখনো সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করতে হয় ইউএনওকে। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে তাঁকে চারজনের অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে ২২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির ৯টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আর আটটিতে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কয়েকটি কমিটিতে উপদেষ্টা এবং ৮-১০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকেন। তারা না থাকায় উপজেলা পরিষদ প্রশাসক হিসাবে সব কমিটির দায়িত্ব এখন ইউএনওর কাঁধে। একইভাবে পৌর মেয়র-কাউন্সিলরদের অপসারণ করায় ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন ইউএনও।
উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ আগস্ট পরবর্তী ছয় ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় সেসব ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এছাড়া জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ নানা জনের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ শোনা এবং সেগুলোর সমাধানও অনেক ক্ষেত্রে তাঁকেই করতে হচ্ছে।
নানুপুর আবু সোবাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান বলেন, একজন ইউএনও উপজেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ের স্কুল-মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি। এজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আমাদের তাঁর কাছেই যেতে হয়। গেলেই দেখি তিনি নানান কাজে ব্যস্ত থাকেন। এরপরও তিনি আমাদের কথা শুনেন এবং সুন্দর সমাধানও দেন।
লেলাং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে ইউএনও স্যারের দায়িত্ব কয়েকগুণ বেড়েছে। যা সামলানো খুবই কষ্টসাধ্য। তবে তিনি খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।  
ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখন একটু দায়িত্ব কমছে। মাস দুয়েক আগে যখন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিল না, তখন আরও বেশকিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। তবে এটিকে আমি চাপ বা বোঝা মনে না করে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কাজের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নিজেকে যতই সম্পৃক্ত করছি ততই ভালো লাগছে কারণ, এমন সুযোগ বার বার আসে না।  

Side banner