Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
কুমড়ো বড়ির খ্যাতি দেশজুড়ে 

কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সোনাতলার সাহাপাড়ার মানুষ


দৈনিক পরিবার | বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি  নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সোনাতলার সাহাপাড়ার মানুষ

শীতের শুরুতেই কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সোনাতলার সাহাপাড়ার মানুষ। এবছর সাধারণ মানের কুমড়ো বড়ি প্রতি কেজি ১শ' ষাট টাকা থেকে ২শ' টাকায় এবং ভালো মানের বড়ি সাড়ে ৪শ' থেকে ৫শ' টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে বড়া ব্যবসায়ীরা। 
গত মৌসুমে এ এলাকায় প্রায় ২০ লাখ টাকার কুমড়ো বড়ি বেচাকেনা হলেও এবার বেচাকেনা আরো বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বড়া তৈরির কারিগর। সাহাপাড়ার কুমড়ো বড়ি দেশ-বিদেশ স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে থাকেন এই অঞ্চলের মানুষ। অসহনীয় গরম পেরিয়ে সোনাতলায় এখন শীতের আমেজ বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরেই গভীর রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে এই অঞ্চলের মানুষের রান্নায় অন্যতম মুখরোচক খাবার হলো কুমড়ো বড়ি।
শীতের শুরুতেই তাই এ উপজেলার কুমড়ো বড়ি তৈরির কারিগররা শুরু করেছেন বড়ি তৈরির কাজ। পৌরসভা সংলগ্ন বাইগুনী সাহা পাড়া গ্রামে সু-দির্ঘ দিন ধরেই কুমড়ো বড়ি তৈরির জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। পুরুষেরা সংসারের অন্যান্য কাজ করলেও সাধারণত নারীরা কাক ডাকা ভোরে বড়ি তৈরি করে থাকেন। সাধারণত বাংলা সনের কার্তিক মাস থেকে ফাগুন মাস পর্যন্ত কুমড়ো বড়ির চাহিদা অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই এ বছরো নভেম্বর মাসের শুরুতেই বড়ি তৈরি শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী মার্চ এপ্রিল পর্যন্ত।
কুমড়ো বড়ি তৈরির অন্যতম উপাদান হলো মাষকলাইয়ের ডাল। গত বছর মাষকলাই ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে এবছর ভালটি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। তবে শুধু সনাতনী রমনীদের মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে এখন সবাই বড়ি বানিয়ে থাকেন। 
আলো রানী, গীতা রাণী বলেন, আমাদের সাহাপাড়া গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী বেশিরভাগ মানুষেরই জমিজমা কম। শীত মৌসুমে আমরা সহ গ্রামের অনেকেই সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করি।

Side banner