ঢাকায় অবস্থান করে এমনকি ঘটনাস্থলের ৮০/১০০ কি: মি: এলাকার মধ্যে না থেকেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বালিখোলা গ্রামের আপন দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচা কর্তৃক মারামারি ও লুটতরাজের মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ করেছেন তার ভাতিজারা।
বালিখোলা গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছেলে মো: আ: ছালাম (৩৬) এবং মো: মামুন মিয়া (২৪)। দুইজনই থাকেন যথাক্রমে ঢাকা ও নরসিংদীতে। বড় ভাই সালাম চাকুরী করে ঢাকা উত্তরায় আরএকে সিরামিকের প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ট্রেডিংয়ে আর মামুন চাকুরী করে পাঁচদোনার মোমেন টেক্সটাইলে। তাদের গ্রামের বাড়ির সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের আপন চাচা বশির আহাম্মদ, আলী আহাম্মদ ও অলি আহাম্মদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মারামারি, বিচার-সালিশ ও মামলা-পাল্টা মামলা চলমান আছে।
গত ২ জুলাই ছালামের চাচা মো: আলী আহাম্মদ বাদী হয়ে কুন্ডা ভূঁইয়াঘাট ঘটনাস্থ দেখিয়ে নাসিরনগর থানায় ১টি মারামারি ও লুটতরাজের মামলা করেন তারই বড় ভাই মো: হোসেন আহাম্মদ এবং তিন ভাতিজা মো. আ: ছালাম, মো: আলম মিয়া এবং মো: মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের পরই এলাকায় শোনা যায় নানা মুখরোচক আলোচনা। ভাতিজা আ: ছালাম ও মামুন মিয়া মামলাটি মিথ্যা প্রমাণের কিছু ডকুমেন্ট দেখান এ প্রতিবেদককে।
আব্দুল ছালামের দেওয়া মোহাম্মদ ট্রেডিং এর এমপ্লয়ী ট্রেকিং রিপোর্ট দেখা যায় ঘটনার দিন তার অবস্থান ছিল ঢাকার উত্তরা এলাকায় এবং সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ঘটনার দিন মামুন মিয়া ব্যস্ত আছেন তার কর্মস্থল নরসিংদীতে ট্রাকের মালামাল- আনলোড করার কাজে।
অভিযুক্ত আব্দুল ছালাম বলেন, আমার দাদার দলিল চাচা ২ নম্বরী করে আমার দাদার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন আমার বাবা ও ফুফুদের, এ বিষয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ করলেও তিনি কার্যকর করেন না সালিশের সিদ্ধান্ত। আমরা সম্পত্তির দাবী করলেই চাচা হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের। বর্তমানে যে মামলাটি হয়েছে এটা সাজানো মিথ্যা।
মামলাটির বিষয়ে বাদী আলী আহম্মদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মারামারি করছে সত্য, এরা ফার মাইরা আমার দাঁত ফালাই দিছে, পরে তো আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
ঘটনার কোন ছবি বা ফুটেজ আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমার কাছে কোন ছবি বা ফুটেজ নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আ: কুদ্দুছ বলেন, আমরা পথচারীর সাক্ষী নিয়ে মামলাটি গ্রহণ করেছি, আরো তদন্ত চলমান।
আপনার মতামত লিখুন :