বগুড়া সোনাতলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য গরুর মাঝে দেখা দিয়েছে লাম্পিস্কিন নামের এক ধরনের (ভাইরাস) রোগ। সূত্রমতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ রোগে অনেক গরু মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, লাম্পিস্কিন নামক এই ভাইরাস (রোগ) একমাত্র গরম কালে গরুর মাঝে বেশি দেখা দেয়। ফলে আতংকিত না হয়ে বরং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগে গরু সুস্থ্য হয়ে উঠে।
এদিকে মধুপুর ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের রাজু আহম্মেদ জানান, লাম্পিস্কিন নামক রোগে আমাদেও গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের ২০/২৫টি গরু মারা গেছে। এখন প্রায়ই ৩০/৪০টি গরু পাম্পি নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে আছে। তবে মারা যাওয়া বেশিরভাগই গরুর বাছুর এবং একেকটি গরুর আনুমানিক মূল্য ৩০/৪০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।
উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. গোলজার রহমান জানান, ল্যাম্পিস্কিন হচ্ছে সংক্রমণ রোগ এটি বাতাসের সাহায্যে প্রাণী হতে প্রাণীতে প্রবেশ করে। তবে এ রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় না।
ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ জমির উদ্দিন বলেন, লাম্পিস্কিন রোগের এখন পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট ঔষধ আবিষ্কার হয়নি তবে আমাদের সহ অন্যান্য কোম্পানির ভ্যাকসিন গরুকে প্রয়োগ করলে এ রোগে আক্রান্তের সম্ভবনা কম থাকে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোস্তফা কামাল (বিসিএস) জানান, ২০১৯ সালে দেশে এই ভাইরাস গরুর মাঝে দেখা দিলে ২২ সালে এই রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আসে। তবে ১টি ভ্যাকসিন ১০টি গরু শরীরে পুশ করা যায়। এরোগ প্রতিরোধে এন্টিপাইরেটিভ, এন্টিহিস্টামিনিক জাতীয় ওষুধের সাথে ব্যাথা নাশক ঔষধ গরুকে খাওয়ালে সুস্থ্য হয়ে যাবে তবে এরোগে আক্রান্ত গরুদের আলাদা রাখায় ভালো।
তিনি আরো জানান লাম্পিস্কিন রোগে উপজেলার প্রায় গ্রামে ১০/১২টি গরু মারা যাওয়ার খরব আমরা পেয়েছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকী বলেন, লাম্পিস্কিন ডিজিজে বিচলিত না হয়ে বরং রোগে আক্রান্ত গরুদের দ্রুত আমাদের কাছে নিয়ে এলে চিকিৎসা সহ ঔষধ দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :