Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

জয়পুরহাটের চারটি মাদরাসার সবাই অকৃতকার্য


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ১১, ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম জয়পুরহাটের চারটি মাদরাসার সবাই অকৃতকার্য

এবারের দাখিল পরীক্ষায় জয়পুরহাটের চারটি মাদরাসায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। ওই চারটি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা শতভাগ ফেল করেছে। শতভাগ ফেলের তালিকায় থাকা চারটি মাদরাসার মধ্যে দুটি কালাই উপজেলায়, অন্য দুটি আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় অবস্থিত। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন। 
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সারা দেশে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। জেলায় এসএসসি পাসের গড় হার ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে জেলায় এসএসসি চেয়ে দাখিলে পাস হার কম। জেলায় দাখিল পরীক্ষার গড় পাসের হার ৫৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। চারটি মাদরাসার একজনও শিক্ষার্থীও পাস করেনি। 
মাদরাসাগুলো হলো- কালাই উপজেলার হারুঞ্জা দাখিল মাদ্রাসা, পাঁচগ্রাম জান্নাতুল নুরী দাখিল মাদরাসা, আক্কেলপুর উপজেলার গণিপুর দাখিল মাদ্রাসা ও ক্ষেতলাল সরাইল  মহাফেজিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। মাদরাসাগুলোতে দাখিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কম। এবার জেলায় মোট ২ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে এক হাজার ৪৩২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৭৮ জন। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষেতলাল সরাইল মহাফেজিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা পাঁচ জন দাখিল পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ করেছিল। দুই জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার অংশ নেয়নি। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তিন জনের কেউই পাস করেনি। পাঁচগ্রাম জান্নাতুল নুরী দাখিল মাদরাসার ১৬ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষার্থীর কেউই পাস করেনি। গণিপুর দাখিল মাদরাসার ২৪ জন শিক্ষার্থীর কেউই পাস করেনি। হারুঞ্জা দাখিল মাদরাসার ৪ জন শিক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। এসব মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্টরা বলছেন, তারা শূন্য ফলাফলের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। 
সরাইল মহাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আজমল হোসেন বলেন, আমাদের মাদরাসার পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। যে তিন জন পরীক্ষা দিয়েছিল তারা মোটামুটি ভালো শিক্ষার্থী। কি কারণে একজনও পাস করল না তা বুঝতে পারছি না। 
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাদরাসাটি এখনো এমপিও ভুক্ত হয়নি। আমরা শিক্ষকেরা ২৫ বছর ধরে বেকার দিচ্ছি। দাখিল পরীক্ষার ফলাফল আমাদের মাদরাসাটি এমপিও ভূক্তকরণকে আরও সমস্যায় ফেলল। 
গণিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের মাদ্রাসা বরাবরই দাখিল পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে। তবে এবার কি কারণে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলের বিপর্যয় ঘটল তা বুঝে আসছে না। পরীক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছেন, তারা রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করবেন।
জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাস কোন বিদ্যালয় নেই। এসএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ৩২৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে দাখিল পরীক্ষায় চারটি মাদরাসার একজনও শিক্ষার্থী পাস করেনি। চারটি মাদরাসার শতভাগ ফেলের কারণ খতিয়ে দেখা হবে।

Side banner