রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ সব কথা বলেন উপদেষ্টা।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে আইন উপদেষ্টার এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। প্রায় ৩৫ মিনিটে এ পোস্টে মন্তব্য করেছেন সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষ।
মন্তব্যের ঘরে একজন সিনিয়র সাংবাদিক ফয়সাল আতিক লিখেছেন, প্রশাসন পাঁচ জনের কথা শোনাচ্ছে কেন বারবার। এই ঘটনায় কী আরো বেশি লোক জড়িত থাকতে পারে না? নাকি অল্পের ওপর দিয়ে সেরে জনতুষ্টি অর্জনের চেষ্টা।
ফরিদ উদ্দিন আল মাদানী নামে আরেকজন লিখেছেন, ভাইরাল হলে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আর কোনো খবর নেই। আছিয়াকে নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন, সর্বশেষ কী খবর? বিচারের নামে এই দীর্ঘ সময় নষ্ট করা অপরাধীদের বেপরওয়া বানিয়ে দেয়। এই মন্ত্রণালয় চালাতে না পারলে জনগণের কাছে মাফ চেয়ে পদত্যাগ করেন।
শিশু চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ঈৎঁফ ঊারফবহপব থাকার পরও যে বিচার করতে দীর্ঘ সময় লাগে, এর সমাধান চেষ্টা করা উচিত। এই ধরনের ঘটনায় সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে রায় ও কার্যকর হওয়ার বিধান থাকা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :