Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নকলায় অস্টম শ্রেণির ছাত্রী নিয়ে যুবলীগ নেতা উধাও


দৈনিক পরিবার | আইনুল নাঈম মার্চ ৩১, ২০২৪, ০১:১৫ পিএম নকলায় অস্টম শ্রেণির ছাত্রী নিয়ে যুবলীগ নেতা উধাও

শেরপুরের নকলায় শেখ শামীম (৪২) নামে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী-সন্তান ফেলে রেখে অস্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শামীম উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঠাকাটা মাঝি বাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত হায়াতুল্লাহর ছেলে। সে উপজেলার ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ২ সন্তানের জনক।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শামীম স্থানীয় বাজারে ছোট একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসার নামে সেখানে মূলত দাদন ব্যবসা পরিচালনা করে। তারা আরও জানান, শামীম একজন দাদন ব্যবসায়ী ও নেশাগ্রস্ত হলেও সে সরকারি দলের নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সবাই মুখ খুলতে ভয় পায়।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীর বাবা রেজাউল করিম একজন দরিদ্র ভ্যান চালক ও মা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মসূচির মাটি কাটার কাজ করেন। তবে তাদের মেয়ে মেধাবী ও সুন্দর হওয়ায় মেয়ের প্রতি ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শেখ শামীমের কুনজর পড়ে। শামীম বিভিন্ন সময় সরকারের সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে কারণে অকারণে রেজাউল করিমের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে।
শিক্ষার্থীর মা জানান, তাদের বাড়িতে শামীমের বেশি বেশি আসা যাওয়া সন্দেহজনক মনে হলে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, শামীম নাকি তাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে প্রায় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ায় সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ে অপ্রাপ্ত হওয়ায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কৌশলে ও ভয় দেখিয়ে প্রথম স্ত্রী-সন্তান ফেলে রেখে অস্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। যা নকলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে ন্যাক্কার জনক ঘটনা বলে অনেকে মনে করছেন।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রেজাউল করিম নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাদের মিয়াকে মৌখিকভাবে জানালে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দিয়েছেন বলে ভূক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন। এদিকে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শামীমের পরিবারের লোকজন ও তার স্ত্রী সন্তানরা এ ঘটনায় খুবই লজ্জিত ও মর্মাহত। এ বিষয়ে আর কোন কথা বলতে নারাজ।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেধাবী মেয়েকে শামীম জোরপূর্বক ভাবে উঠিয়ে নিয়ে ১১ দিন ধরে উধাও হয়েছে।
এ বিষয়ে পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম বেনজীর আহমেদকে মুঠো ফোনে ঐ শিক্ষার্থীর কথা জিজ্ঞেস করলে প্রধান শিক্ষক বেনজীর আহমেদ বলেন, কোন তথ্য টথ্য নেই। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানান।
নাবালক শিক্ষার্থীর কিভাবে বিয়ে হয়? জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক চুপ করে থাকেন। প্রশাসনকে অবহিত করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে পাঠাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, শুনেছি শামীম নাকি এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। অস্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অপ্রাপ্ত মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া একদিকে লজ্জা ও ন্যাক্কারজনক অন্যদিকে আইনভঙ্গের সামিল। তাই এবিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করছেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি কাদের মিয়া জানান, এমন একটি ঘটনা মৌখিক ভাবে শুনেছি, তবে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Side banner