বরগুনার পাথরঘাটা সজীব নামের এক প্রেমিক যুবকের আত্মহত্যার প্ররোচনার ম্যাসেজ সহ্য করতে না পেরে প্রিয়ন্তী (১৭) নামে একজন কলেজ ছাত্রী ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পাথরঘাটা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় ২নং ওয়ার্ডের টুরি কর্মকারের ভাড়াটিয়ার বাসায় প্রিয়ন্তী আত্মহত্যা করে।
প্রিয়ন্তী পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুনীল হাওলাদারের ছোট মেয়ে এবং পাথরঘাটা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্ত সজীব উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান মাস্টারের ছেলে।
প্রিয়ন্তির মুঠোফোন থেকে দেখা গেছে, সজিবের ফোন নাম্বার ইংরেজিতে ‘জান’ নামে সেভ করা। সেখানে দেখা যায় প্রিয়ন্তি আত্মহত্যার পর মঙ্গলবার সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে সজীব লিখছে ‘১২ বাতারি মরো নাই তুই, কুকুর ও তোর থেকে ভালো, বিশ্বাস ঘাতক না। তুই যে এতো নোংরা যদি আগে জানতাম তবে তোর দিকে থুও ফালাইতাম না’
প্রিয়ন্তির ছোট ভাই সৈকত হাওলাদার জানান, সজীব নামে এক যুবকের সাথে ফোনে কথা বলতো প্রিয়ন্তি। সজিব প্রিয়ন্তির ইমুতে নানা ধরনের এসএমএস দিতো। সবশেষ সোমবার রাতে সজিব ভয়েস মেসেজ দিয়ে প্রিয়ন্তিকে মরতে বলে। এতে ঘৃণায় আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। দিদি মারা যাওয়ার পরে আজ সকালেও ফোনে মেসেজ দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালামন্দ করে সজীব।
প্রিয়ন্তির বাবা সুনিল হাওলাদার জানান, সকাল ৮টার দিকে অফিসে যাওয়ার সময় আমার ছোট ছেলে সৈকত প্রিয়ন্তির রুম থেকে মোবাইলের চার্জার আনতে গেলে দেখে দরজা লাগানো। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ফাঁক দিয়ে দেখে প্রিয়ন্তি ফ্যানের সাথে ঝুলছে। সজিব নামে এক যুবক প্রিয়ন্তিকে বিরক্ত করতে বলেও জানান তিনি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা শোনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ছালেহসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রিয়ন্তির ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
লাশের সুরাতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :