যশোরের কেশবপুরে এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী অসাধু কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী ও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ দখল করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের আনসার আলী মোড়লের কন্যা ও যশোর বারোবাজার সোনালী ব্যংক কর্মকর্তা কেশবপুর উপজেলার কাস্তা গ্রামের সাইফুজ্জামান মিলনের স্ত্রী রোজিনা থাতুন বিগত ০৬-০৮-২০১০ ইং তারিখে স্মারক নং-শি:/মাঃ/বিঃ-০১/১০ নিয়োগ পত্রের আদেশ অনুযায়ী শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে (সমাজ বিজ্ঞান) যোগদান ও নিয়মিত ভাবে সরকারী বেতন-ভাতাসহ সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ দখল করে আসছেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অত্র বিদ্যালযের তৎকালীন সভাপতি মতিয়ার রহমান ও প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান খাঁন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদের যোগসাজসে নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের ম্যানেজ করে তার নিবন্ধন জাল জেনেও সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গত ১০-০৭-২০১০ খ্রীঃ নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশক্রমে ২৬ জুলাই ২০১০ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোজিনাকে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ প্রদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৎকালীন কমিটির অনেকে বলেন, টাকার বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড রোজিনাকে নিয়োগ দেয়। তার নিয়োগ বাতিলের জন্য আমরা প্রতিবাদ করেও কোন কাজ হয়নি।
শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, আমি অত্র প্রতিষ্ঠানে ২০১৭ সালে যোগদান করি। স্কুলে সংরক্ষিত রোজিনা খাতুনের ফাইলে তার কোন নিবন্ধন সার্টিফিকেট পায়নি, তবে তার নামে ২০১২ সালের একটি নিবন্ধন দেখেছিলাম। ঐ নিবন্ধনের সাথে নিয়োগপত্রের অমিল থাকায় সেটি গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে রোজিনা খাতুনের ভুয়া নিবন্ধনের বিষয়টি আমি জেনেছি। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তার নিয়োগপত্রের যাবতীয় কাগজপত্র জমা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা অভিযুক্ত শিক্ষিকা রোজিনা খাতুনের সরাসরি ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে শ্রেণী কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন।
এ রিষয়ে রোজিনা খাতুন এর স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান মিলন সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন, এখন সময় খারাপ বলে কিছু বলবোনা। তবে যদি কোন দিন সময় আসে তখন দেখে নেব।
এ ব্যাপারে শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি, দ্রত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :