চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে অত্যাধুনিক পোশাক কারখানা স্থাপনে জমি ইজারা চুক্তি করেছে হানডা (বাংলাদেশ) গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেড। এই কারখানায় ৪ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকায় বেপজা নির্বাহী দপ্তরে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর ও হানডা (বাংলাদেশ) গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হ্যাং ঝেলি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিইপিজেডার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, হানডা গ্রুপের চেয়ারম্যান হান চুন এবং বিইপিজেডা ও হানডা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হানডার বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশ, বিশেষ করে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা দ্রুতই জমি হস্তান্তরের চেষ্টা করবো যেন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা যায়।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা আপনার পাশে থাকবো। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা অন্য যে কোনো সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা দেখা দিলে আমাদের জানাবেন, আমরা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
হানডা ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হান চুন বেপজার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ করে আজ আমরা চুক্তি সই করলাম। এখন আমাদের লক্ষ্য দ্রুত কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করা। আমাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, আমরা শুধু সাশ্রয়ীশ্রমের মূল্যের খোঁজেই বাংলাদেশে আসিনি- আমরা বাংলাদেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে আসতে চাই। একটি ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় কারখানা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা স্থানীয় টিম তৈরি করবো যারা ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট ও কারিগরি পরিচালনায় দক্ষ হবে। এদের মাধ্যমে আমাদের জাপান ও ইউরোপের ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ গড়ে উঠবে।
হান চুন আরও বলেন, আমাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ভবিষ্যতে আমাদের চীনের হাইনানসহ অন্যান্য দেশে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ৭ কোটি ২১ লাখ পিস পুরুষ বা বালক এবং নারী বা বালিকাদের টিশার্ট, ভেস্ট, পলো শার্ট, ওভারকোট, জ্যাকেট, স্যুট, ব্লেজার, ট্র্যাকস্যুট, সুইমওয়্য্যার, বাচ্চাদের পোশাক, ড্রেসিং গাউন ও অন্যান্য পোশাক তৈরি করবে যার ফলে ১০ হাজার ১১২ বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :