জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংসহ নানা অভিযোগে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ১০ ছাত্রলীগ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাবিপ্রবির উপাচার্য (ভিসি) ড. মো. আতিয়ার রহমান।
তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট ও তার আগে-পরে যে সমস্ত ছাত্ররা, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচার করেছে, নিপীড়ন চালিয়েছে যারা র্যাগ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভিসি আরও জানান, আমি যোগদানের পরই তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সে তদন্ত কমিটি একেবারে চুল-ছেঁড়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দিয়েছে। সে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাদের কাউকে আজীবনের বহিষ্কার, আবার যারা এই কাজগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিন্তু ছাত্রত্ব শেষ করেছে তাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্সে অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) বিশ্বজিৎ শীল সাগর, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, মহিউদ্দিন মুন্না, আবির, হাসু দেওয়ান, জাকির হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম অপু, আকিব মাহমুদ, অন্তু কান্তি দে ও রিয়াদ তালুকদার।
বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এ অবিচারের বিচারও হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলছেন, কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের কিছু বলার নাই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :