বাসা ও কর্মস্থলের কাছে হওয়ায় দুই সন্তানকে মাইলস্টোন স্কুলে ভর্তি করান মাখন রহমান। গত ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনার দিন তার দুই সন্তানই স্কুলে গেছে। এমনকি যে রুমে বিমান আছড়ে পড়ে তার পাশের রুমেই ছিল মাখন রহমানের ছেলে তাওহিদ রহমানের ক্লাস। তবে সেদিন তার কোচিং ক্লাস না থাকায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে কথা হয় মাখন রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, যে রুমে বিমান আছড়ে পড়েছে তার পাশের রুমেই ছিল ছেলের ক্লাস। স্কুল ছুটির পর ছেলে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। অল্প সময়ের ব্যবধানে ছেলে বেঁচে গেছে। কোচিংয়ের জন্য যারা ছিল তারাই হতাহত হয়েছে।
মাখন রহমান আরও বলেন, দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে ছোট, সে পড়ে কেজি শ্রেণিতে, ছুটি হয়ে যায় আগেই। ছেলে পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে। দুর্ঘটনার দিন দুইজনই স্কুলে গেছে। দুপুর একটায় ছেলের ছুটি হয়।
তিনি বলেন, ছেলেকে নিতে আমার স্ত্রী ওইদিন স্কুলে যায়। পরে আমাকে ফোন দেয়, বলে স্কুলে আগুন লেগেছে। আমিও ছুটে আসি। ওইদিন সাধারণ মানুষ, সেনাবাহিনী অনেক তৎপরতা দেখিয়েছে। পরে স্কুল থেকে বের হতে আমাদের বিকেল সাড়ে তিনটা বেজে যায়।
শিক্ষার্থীদের অনেকেই কোচিং করে জানিয়ে এ অভিভাবক বলেন, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আমার ছেলে বেঁচে যায়। আমি ছেলেকে কোচিং করাই না। কোচিংয়ের জন্য যারা ছিল তারা হতাহত হয়েছে।
ছেলের মানসিক পরিস্থিতি এখন কেমন সে বিষয়েও কথা বলেন মাখন রহমান। তিনি বলেন, ছেলে একটু নার্ভাস। এখনো বাসায় আছে। সবকিছু স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। চোখের সামনে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীস ৫১ জন।
আপনার মতামত লিখুন :