Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বিএনপির

১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০৭:৪৭ পিএম ১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি

আগামী ১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী সব বিভাগীয় শহরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। রাজধানীতে এই গণঅবস্থান হবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার পরে বিএনপিসহ ১৩টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা গণমিছিল কর্মসূচি শুরু করেন। সেখান থেকেই এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুরুতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ গ্রেপ্তার সবার মুক্তি দাবি করেন তিনি।
মোশাররফ বলেন, আমরা ১০ দফা প্রণোয়ন করেছি এ দেশের জনগণের পক্ষে। ১০টি বিভাগীয় জনসভার মধ্যে জনগণের একটি আওয়াজ ছিল এই ব্যর্থ, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অর্থ ধ্বংসকারী সরকারকে বিদায় করতে হবে। আজকে যারা ক্ষমতায় গায়ের জোরে, তারা দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। এরা জনগণ নির্বাচিত না। এরা ফ্যাস্টিস আর আন্তর্জাতিকভাবে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। তাদের সঙ্গে এ দেশের জনগণের সম্পর্ক নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সেই জন্য তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে অলিখিত বাকশাল চালাচ্ছে।
স্থানীয় নির্বাচনেও এ দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তারা একবার না; স্বাধীনতার পরে ৭২-৭৫ যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনো তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল সৃষ্টি করেছিল। তাই জনগণ বলছে, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, যারা জনগণের ভোট হরণ করেছে, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না, বলেন তিনি।
মোশাররফ আরও বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে না; অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়েছে, তারা অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না; বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না; সামাজিক ভারসাম্য আনতে পারবে না; দেশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে পারবে না। সে জন্য তাদের বিদায় প্রয়োজন। কোনো স্বৈরাচার বেশি দিন টিকতে পারে না। আমাদের দেশেও পাকিস্তানের আইয়ুব খান টিকে থাকতে পারেনি গণঅভ্যত্থানের সামনে। আমাদের নেত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রামে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোশাররফ বলেন, আজকের গণমিছিল দেখে যান, আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে কি না। আপনারা নাকি পাড়ায় পাড়ায় পাহারা দেবেন, আপনারা পাহারা দিয়েছেন কিন্তু দেশের জনগণকে ঘরে রাখতে পারেননি। আগামী দিনে এই জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যত্থান ঘটিয়ে আপনাদের বিদায় করবে। আজকের গণমিছিল দেখ যান। তিনি বলেন, ১০ দফায় আদায়ে আমরা আরও কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে দেবো। স্বৈরাচারী সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের বাধ্য করতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। মনে করেছিল, ১০ ডিসেম্বরের আগে মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করলে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাবে। যত গ্রেপ্তার, যত নির্যাতন হোক না কেন, রাস্তায় আমাদের নেতাকর্মী শুধু নয়-জনগণ নেমে গেছে। আর তাদের দমানো যাবে না।
 

Side banner