Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ

৯৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার মে ৯, ২০২৫, ১০:৪৩ এএম ৯৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোছা. ফরিদা পারভীন (৫৯) ও রাজস্ব শাখা হিসাব রক্ষক মো. নুরুল আলম (৫৬) বিরুদ্ধে ৯৮ লাখ ১ হাজার ২৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) মামলাটি করেন দুদক দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর আলম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোছা. ফরিদা পারভীন ও রাজস্ব শাখা হিসাবরক্ষক মো. নুরুল আলমের যোগসাজশে কলেজের ২০টি ব্যাংক হিসাব থেকে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ৯৮ লাখ ১ হাজার ২৫৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, দিনাজপুর মহিলা কলেজের ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩৬টি খাতে অর্থ আদায় করে ৩৬টি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা হয়। এসব ব্যাংক হিসাব গুলোর মধ্যে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে জনতা ব্যাংক বাহাদুর বাজার এলপিসি শাখায় থাকা ক্রীড়া তহবিল থেকে ৩টি চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ ৯৮ হাজার, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া তহবিল থেকে ২টি চেকের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার, নিরাপত্তা ও অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী তহবিল থেকে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ ৯ হাজার টাকা, লাইব্রেরি তহবিল থেকে ৫টি চেকের মাধ্যমে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা, ধর্ম ও সমাজ কল্যাণ তহবিল থেকে ২১টি চেকের মাধ্যমে ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তহবিল থেকে ২০টি চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, উন্নয়ন তহবিল থেকে ১১টি চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ২০০ টাকা, আইসিটি তহবিল থেকে ১টি চেকের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রী সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা না হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা জীবন শেষ এমন শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে ছাত্রী সংসদ তহবিল থেকে ৯টি চেকের মাধ্যমে ২ লাখ ২২ হাজার ৩৭৫ টাকা, কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবহনের জন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা না থাকলেও পরিবহন ব্যয় বাবদ তহবিল থেকে ৩টি চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭২০ টাকা, ২০২১ সাল থেকে কলেজের এসএমএস পদ্ধতি বন্ধ থাকার পরও এসএমএস তহবিল থেকে ৫টি চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫২ টাকা, কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য চুক্তিভিক্তিক চিকিৎসক ২০২০ সালের পর থেকে দায়িত্ব পালন না করলেও চিকিৎসা সেবা তহবিল থেকে ১টি চেকের মাধ্যমে ১৮ মাসের সম্মানী বাবদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, কমিটির স্বাক্ষর ব্যতীত ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে বিবিধ তহবিল তৈরি করে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭৯ টাকা, পাঠ উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা, সাধারণ তহবিল থেকে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, পরিবহন যাতায়াত তহবিল থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া হিসাব থেকে ৯১ হাজার ২৩৮ টাকা, উন্নয়ন ২০০৫ হিসাব থেকে ১১ হাজার ৭৪৯ টাকা, বৃত্তি হিসাব থেকে ৮৯ হাজার ৩৮২ টাকাসহ মোট ৯৮ লাখ ১ হাজার ২৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়ায় দিনাজপুর কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মামলার অনুমোদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার।

Side banner