ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আর নেই। শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, দুই ছেলেসহ অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর লিভার সিরোসিস ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া নিয়ে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুদগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কিছুদিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর আজ ভোরে তিনি মারা যান।
মরহুম আব্দুল হাই ২০০১ সালে বিএনপি’র সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবকে পরাজিত করে প্রথম শৈলকুপা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ওই আসনে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আব্দুল হাই ১৯৫২ সালের ১ মে ঝিনাইদহের শৈলকুপার মোহম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জুদ্দিন মোল্যা। তিনি ১৯৬৪ সালে বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি হন। তিনি কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর আব্দুল হাই ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৮ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য আব্দুল হাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুও আগ পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :