বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরুর আগে থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। আর্থিক সংকটে মালিকানা ছেড়ে দেওয়া এবং পরে বিসিবির অধীনে গতকাল (শুক্রবার) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬৫ রানের জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল চট্টগ্রাম। তবে এখনও তাদের বিদেশি সংকট রয়েছে, ফলে প্রথম ম্যাচে শেখ মেহেদীর দলে ছিল কেবল দুজন বিদেশি। পরের ম্যাচ থেকে তারা চারজনকে খেলানোর প্রত্যাশা করছে।
ব্যাট-বল দুই বিভাগ মিলিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ মেহেদী। বিপিএলের মতো বড় প্রতিযোগিতায় প্রথম অধিনায়কত্ব নিয়ে তিনি রোমাঞ্চ অনুভব করছেন। প্রথম জয়ের পর মেহেদী বলছেন, ‘উইন ইজ উইন। এটা সবসময় আনন্দের। ক্যাপ্টেন্সিতে আমি একদই নতুন। এরকম ভালো লেভেলে কখনোই ক্যাপ্টেন্সি করিনি। এটা প্রথম ছিল। একটু এক্সাইটেডও ছিলাম। সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।’
এদিকে, দেশজুড়ে প্রবল ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। সিলেটেও কুয়াশা ও শিশিরের আধিক্য ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালে। এ নিয়ে মেহেদী বলেন, ‘রাতের খেলায় শিশির থাকবেই। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটা কোচের ভালো ডিসিশন ছিল। আমাদের কিন্তু ব্যাটিং লাইনআপ অত বড় ছিল না। সেক্ষেত্রে বোলিং সাইডটা অনেক স্ট্রং। আমাদের মনে হয় টসটা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ছিল। সেটা আমরা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি।’
বিপিএল শুরুর আগেই চট্টগ্রামের তিন বিদেশি ক্রিকেটার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে গতকালের ম্যাচে তারা খেলেছে দুই বিদেশিকে নিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ৪ জন বিদেশি প্লেয়ার নিয়ে খেলার প্রত্যাশা অধিনায়কের, ‘আশা করি পরবর্তী ম্যাচ থেকে আমরা চারটা ওভারসিজ নিয়ে খেলতে পারব। চারটা ওভারসিজ হলে টিমের ব্যালেন্সটা আরও ভালো হবে। তবে এটা আমাদের হাতে না। যারা অফিশিয়াল আছে তারা হয়তোবা ডিসিশন নিতে পারবে।’
মালিকানা ও কোচিং প্যানেলে বদলের পর চট্টগ্রাম রয়্যালসের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মেহেদী বলেন, ‘প্রফেশনাল ক্রিকেটার নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। সে সমস্যার সমাধান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয় সবাই ফ্রি হয়ে গেছে। কোচিং স্টাফ ও অফিসিয়াল হিসেবে নতুন যারা আসছে, তারা আমাদের পুরো মেন্টালি ফ্রি করে দিয়েছেন। ফলে সবাই স্বাধীনভাবে খেলতে পারছি এখন।’








































আপনার মতামত লিখুন :