কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অনুসারী এবং বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুই পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে আসিফ মাহমুদের অনুসারীরা। একই দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয় উপজেলা ছাত্রদলের ব্যানারে। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের দালাল বলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের ধাওয়া দেন। তাৎক্ষণিক আসিফ মাহমুদের অনুসারীরাও পাল্টা ধাওয়া দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুসারী কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমাদের উপজেলা ছাত্রদলের পূর্ব নির্ধারিত একটা প্রোগ্রাম ছিল আজকে। উপদেষ্টার আসিফের লোকজন ইচ্ছে করেই আমাদের প্রোগ্রামের বিপরীতে পাল্টা প্রোগ্রাম দিয়ে ঝগড়া বাধায়। আমরা যেখানেই প্রোগ্রাম দেই সেখানেই ওরা পাল্টা প্রোগ্রাম দেয়। এনসিপির নাম করে উপজেলা আওয়ামী লীগের লোকজন জড়ো হয়েছে। আমাদের উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে। এর দায় হলো মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ সাহেব আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে এনসিপির ব্যানারে বিএনপির বিপক্ষে লেলিয়ে দিয়েছেন। আজকের ঘটনায় আমাদের ৪ জন নেতাকর্মীর অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন আমাদের।
মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিন কাদের খান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা কোনো হতাহতের খবর পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
আপনার মতামত লিখুন :