কিশোরগঞ্জে শহরের ব্যস্ততম স্টেশন রোড। এই সড়কের কালীবাড়ী মোড়ের সামান্য দূরেই কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অবস্থান। তবে ওই থানাটিকে চেনা মুশকিল। দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছের ডালজুড়ে ঝুলে থাকা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ফেস্টুন দেখে বিভ্রান্ত হতে পারেন পথচারীরা।
সাইনবোর্ডটি কারও নজরে না পড়লে যে কেউ মনে করতে পারেন, এটি বুঝি বিএনপির কার্যালয়! গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সদর মডেল থানা এলাকায় দেখা গেছে এই দৃশ্য।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। সম্মেলন ছাড়াও নানা উপলক্ষে থানাসহ সারা শহর ছেয়ে যায় প্ল্যাকার্ড-পোস্টারে। সম্মেলনের পরই স্টেডিয়াম কেন্দ্রিক প্ল্যাকার্ড-পোস্টার জেলা নেতাদের উদ্যোগে অপসারণ করা হয়। কিন্তু থানাসহ সারা শহরের নানা জায়গায় এখনও অজস্র প্ল্যাকার্ড-পোস্টার ঝুলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক বাসিন্দা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলেও বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো শহর সয়লাব হয়ে থাকত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের প্ল্যাকার্ড-পোস্টার ও ব্যানারে। এমনকি অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডও ঢেকে নিজেদের প্রচার চালাতেন। ভয়ে ব্যবসায়ীরা কিছু বলতেও সহস পেতেন না। সব নীরবে হজম করতেন। বিভিন্ন সময় খবর প্রকাশের পরও সেগুলো সরানো হতো না। একই অবস্থা এখনও চলছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাষ্য, বিষয়টি নিয়ে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :