Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
৩ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ

রাজাপুরে এক কিলোমিটার বেহাল সংযোগ সড়ক


দৈনিক পরিবার | ঝালকাঠি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম রাজাপুরে এক কিলোমিটার বেহাল সংযোগ সড়ক

ঝালকাঠির রাজাপুরের রাজাপুর-কাঁঠলিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার আংগারিয়া মিলবাড়ি থেকে শুরু হয়ে পূর্ব আংগারিয়্ াফরিদের আলিম মাদ্রাসা এলাকার গ্রামীণ পিচঢালা রাস্তা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে ৩ গ্রামের মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা গেলনা। জানা গেছে, ওই সড়কটি দিয়ে আংগারিয়া, দক্ষিণ আংগারিয়া, পূর্ব আংগারিয়া, ভাতকাঠি ও উত্তমপুর গ্রামের ৬টি শিক্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ হাজার লোক চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যুগের পর যুগ ধরে। সংযোগ সড়কটির দুই প্রান্তেই পাকা পিচঢালা রাস্তা রয়েছে। ওই সড়কে বেশ কয়েক বছর আগে ইটের সলিং করা হয়েছিল। বর্তমানে সমস্ত রাস্তা জুড়ে ইটের সলিং ভেঙ্গেচুরে মটির সাথে মিশে গেছে। কোন কোন স্থানে ইট মাটিতে মিশে গিয়ে কাদা মাটির সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি খালের পাড়ে হওয়ায় অনেক স্থান ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান তালুকদার বলেন, সংযোগ সড়কটির দুই প্রান্তেই পাকা পিচঢালা রাস্তা রয়েছে। আমরা দুর্ভাগা তাই বহু চেষ্টা, বহু দাবি করা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে ১ কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা করা হচ্ছেনা। এলাকায় অন্য কোথাও এরকম খারাপ রাস্তা আর নেই। শুনেছি রাস্তাটি পাকা করণের জন্য দুইবার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেই বরাদ্দ কেটে তাদের ইচ্ছেমত অন্য স্থানে নিয়ে গেছে। প্রায় ২০ বছর আগে সড়কটিতে ইটের সলিং দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সলিং ভেঙ্গেচুরে বর্তমানে নেই বললেই চলে। ওই ভাঙ্গা ইটের কারণে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুনে।
সরেজমিনে গেলে নাসির উদ্দিন তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন, শরিয়াতুল্লাহ, আঃ হাই আকন ও মাদ্রাসা প্রধান ওবায়দুল হক সহ স্থানীয়রা বলেন, দক্ষিণ আংগারিয়া দারুলহুদা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ আংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আংগারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আংগারিয়া খানকায়ে নেছারিয়া দ্বিনিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসা, পূর্ব আংগারিয়া আলিম মাদ্রাসা ও ফরিদের বালিকা মাধ্যমিক মাদ্রাসার কয়েকশ’ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট করে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। বর্ষা মৌসুমে বৃদ্ধ, শিশু, নারী ও বোঝা বহনকারীদের চরম কষ্ট করতে হচ্ছে। এমনকি বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে এবং কাদাপানিতে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে তারা বিদ্যালয় না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার বলেন, অর্থ বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।

Side banner